নিউজ ডেস্ক: তারেক রহমানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় তার পূর্ব পুরুষদের ভিটা বাগবাড়িসহ পুরো বগুড়া জেলার মানুষ। গাবতলী উপজেলার ওই গ্রাম থেকেই ৪৩ বছর আগে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
ডিসেম্বরের শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন, এমনটাই জানিয়েছেন দলের নেতারা। বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জিয়া পরিবারের এই সদস্যকে দেড় দশকের বেশি দেশের বাইরে থাকতে হয়েছে।
দেশে ফেরার পর তারেক রহমান তাঁর পৈত্রিক ভিটায় আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদের কাছে আসবেন, এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর। তাঁকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন এলাকার নবীন-প্রবীন সবাই।
এক প্রবীন বাসিন্দা বলেন, ‘তারেক রহমান যদি দেশে আসেন এটি খুশির খবর। উনি দেশে আসলে আমাদের সবার জন্য উপকারে আসবেন।’
বগুড়ার স্থানীয় এক তরুণ বলেন, ‘উনার দাদার জন্ম এখানে, উনার বাবার জন্মও এখানে। উনি যদি দেশে আসেন অবশ্যই বাগবাড়িতে আসবেন। উনি আসলে আমাদের সবার ভালো লাগবে। আমরা চাই উনি এসে দেশের হাল ধরুক।’
স্থানীয়রা বলছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি বগুড়ার মানুষের ব্যাপক সমর্থন থাকলেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নানামুখী চাপ সৃষ্টি করা হয়। শেখ হাসিনার পতনে এখন তারা আবারও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করতে পারছেন, জানালেন জনপ্রতিনিধিরা।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাহ বলেন, ‘উনি আসছেন এবং অবশ্যই তার পিতৃভূমি বাগবাড়িতে যাবেন। সেখানে তিনি তাঁর আত্মীয়–স্বজন এলাকার যারা আছে তাদের সাথে সেই স্মৃতি বিজড়িত দিনগুলো ছিল এবং তার যে আনন্দ ফেরার সেটি অবশ্যই শেয়ার করবেন।’
জিয়া পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান ও তারুণ্যের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে নানা প্রত্যাশা।