আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ আগস্ট ২০২৫ ● ৪ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ আগস্ট ২০২৫

তিস্তা বাঁচাতে পাঁচ জেলায় কর্মসূচির প্রস্তুতি সম্পন্ন

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রাত ০৮:১২

Advertisement Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই-এই স্লোগানে তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় বৃহৎ আন্দোলন করছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। সোমবার দুপুর থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে। এর মাধ্যমে তিস্তাপাড়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দাবি বাস্তবায়নে চাপপ্রয়োগসহ বিশ্ব পরিমন্ডলে তিস্তার দুঃখ তুলে ধরা হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিস্তার বুকে মঞ্চ তৈরীসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রচারণার সাথে সাথে  লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। 


আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিস্তা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করবে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। এর মধ্যে রংপুরের কাউনিয়া রেলসেতু ও গঙ্গাচড়া মহিপুর বাজার সংলগ্ন তিস্তা নদীর বুকে রংপুরের কর্মসূচি পালিত হবে। 


মহিপুর তিস্তায় গিয়ে দেখা যায় কর্মসূচিকে ঘিরে ৩টি বড় বড় প্যান্ডেল করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার জন্য, একটি রাত্রিযাপনের এবং একটি খাবার তৈরী ও পরিবেশনের।

গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিবুর রহমান বলেন, ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর নেতৃত্বে আন্দোলন কর্মসূচি হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়ে গেছে। আশা করছি এ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিতে পারবো আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পানির ন্যায্য হিস্যা দিচ্ছে না।

প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের রাত্রিযাপনের প্যান্ডেল, সমাবেশ ও বিনোদনের জন্য মঞ্চ তৈরী, পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা করা, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানির জন্য নলক‚প স্থাপনসহ সকল ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার যদি তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করে তবে লাগাতার কর্মসূচি চলবে।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, বিএনপির সাংগঠনিকসম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোন রাজনৈতিক দলের নয়। এটি রংপুর বিভাগবাসীর আন্দোলন। এই আন্দোলন জনদাবীতে পরিণত হওয়ায় এতে তিস্তাপাড়ের মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। আশা করছি দু’দিন ব্যাপক লোকসমাগম ঘটবে।


তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ৫ জেলার ১১টি পয়েন্টে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৭ তারিখ তিস্তা পাড়ের সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। এছাড়া বিএনপির  কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি জানাতে তিস্তাপাড়ে আসবেন। এদিকে জাগো বাহে তিস্তাা বাঁচাই শ্লোগানে তিস্তাা মেগাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পানির ন্যার্য্য হিস্যার দাবিতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ডাকে দুইদিন ব্যাপী লাগাতার কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে রংপুর নগরীতে লিফলেট বিতরণ করেছে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মী।

রবিবার বিকেলে নগরীর সালেক পাম্প, জাহাজ কোম্পানী মোড়, মেডিকেল মোড়, ধাপসহ বিভিন্ন এলাকায় এই লিফলেট বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্তিত ছিলেন, রংপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মহানগর যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য শহীদুল ইসলাম শহীদ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকিবুর রহমান মনু, জেলা যুবদলের নেতা সোহেল রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ফজলে রাব্বী বাবু, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন মিন্টু প্রমুখ।

মন্তব্য করুন


Link copied