স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী ৩ ও ৪ আসনের জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের দুই সংসদ সদস্য ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে উক্ত দুইটি আসনের ৮জন প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শনিবার(৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের বরাবরে লিখিত এ অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন, নীলফামারী-৩ আসনের জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল ও নীলফামারী-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান আদেল।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, নীলফামারী-৩(জলঢাকা) ও নীলফামারী-৪(সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীদ্বয় প্রকাশ্যে ও বিভিন্ন মাধ্যমে ভোট গ্রহনের পুর্বেই নিজেদেরকে আগাম সংসদ সদস্য হিসাবে বিজয়ী হিসেবে ঘোষনা করছেন। যা নির্বাচনের পরিবেশ ব্যাহত ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। যার ফলে অভিযোগকারী আমরা প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারা বিভ্রান্ত হচ্ছে। এতে করে সাধারণ ভোটারগণ ভোট প্রদানে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে। এ বিষয়ে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনে অভিযোগকারী গণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান।
ওই অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন, নীলফামারী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মার্জিয়া সুলতানা (ঈগল), সাদ্দাম হোসেন পাভেল (কাচি), হুকুম আলী খান (ট্রাক), কাজী ফারুক কাদের (কেতলী), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী বাদশা আলমগীর (হাতঘড়ি) ও গণতান্ত্রী পার্টির মোজাম্মেল হক (কবুতর) এবং নীলফামারী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন (ট্রাক) ও জাসদ প্রার্থী আজিজুল হক (মশাল)।
অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করার কথা স্বীকার করে নীলফামারী-৩ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন পাভেল বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী রানা মোহম্মদ সোহেল প্রকাশে বলে বেড়াচ্ছেন তিনি একটি ভোট পেলেও এমপি নির্বাচিত হবেন। এটা সম্পূর্ণ আচরণ বিধি লঙ্ঘন। এতে ভোটার ও সমর্থকদের মধ্যে ভোট প্রদানের আগ্রহ হারাচ্ছে। বিষয়টি আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
নীলফামারী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন ওই অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করার কথা স্বীকার করে বলেন, এ আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী নির্বাচনের আগে নিজেকে বিজয়ী বলে বিভিন্নভাবে বলে বেড়াচ্ছেন। আমরা এর প্রতিকার চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কথা বললে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, এ কথা আমি কখনো বলি নাই। এটা সম্পুর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। তারা আমাকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে ফায়দা লুটার অপচেস্টা করছে। আমি যদি এমন কথা বলে থাকি তাহলে এর ভিডিও বা কোন প্রমান দেখাতে পারলে আমি এর দায়ভারমাথাপেতে নেবো।
অপরদিকে নীলফামারী-৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সংসদ সদস্য মো. আদেলুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি বারবার ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, অভিযোগ পত্রটি আমার কার্যালয়ে জমা দেয়ার কথা। আমি সেটি দেখে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
