আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

নীলফামারীতে দীর্ঘ ছয় বছর আত্মগোপনে থাকার পর ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪, রাত ০৮:৪৯

Advertisement Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ দীর্ঘ ছয় বছর আত্মগোপন করে থাকার পর ঈদে বাড়িতে এসে ধরা পরলেন ধর্ষক রনি ইসলাম। বুধবার(১৯ জুন) সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটের দিকে নীলফামারী রেলস্টেশনের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৩ নীলফামারী সিপিসি-২। রনি ইসলাম(৩৪) নীলফামারী সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের চড়চড়াবাড়ী দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। সে ঢাকার ভুয়া পরিচয়ে একটি গার্মেন্টস কোম্পানি ছিল। 
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৩ এর উপ-পরিচালক (মিডিয়া) স্কোয়াড্রন লীডার মাহমুদ বশির আহমেদ। 
ধর্ষক রনি ইসলাম গ্রেপ্তারের খবরে ওই ছাত্রী জানান, আমি এবার বিচার পাবো। আসামীর সাথে আমার মেয়ের ডিএনএ পরীক্ষা করা হলে পরিস্কার হয়ে যাবে আসামী অপরাধী। 
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাত বছর আগে(২০১৮ সাল) রনি ইসলাম এর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে একই গ্রামের সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন মেধাবী শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম। সেসময়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুলসুমের সাথে একাধিকবার শারীরিক স¤পর্ক গড়ে তোলে রনি। ২০১৯ সালে অষ্টম শ্রেণীতে জেএসসি পরীক্ষার আগে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে উম্মে কুলসুম। এদিকে অন্তঃসত্ত্বার খবর পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় রনি। শিশুটি গর্ভে আসায় গ্রাম্য সালিশে ভূল স্বীকার করে রনির বাবা গর্ভপাতের জন্য ১০ হাজারসহ আরও টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়। কিন্তু অল্প বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় গর্ভপাতের ঝুঁকি নিতে চায়নি চিকিৎসক। পরে কোল আলোকিত করে এসেছে ফুটফুটে শিশু রোজামণি আক্তার রুনা। বর্তমানে শিশুটির বয়স পাঁচ বছর। 
দশ বছর আগে মাকে হারানো ভুক্তভোগী উম্মে কুলসুম শিশু সন্তান ও প্রতিবন্ধি বাবা দেলোয়ার হোসেনকে নিয়ে স্বামীর পরিচয় ছাড়া সমাজে প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত হতে হচ্ছিল তাকে। নিরুপায় হয়ে কুলসুমের বড় বোন বাদি হয়ে নীলফামারী সদর থানার মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং-১৮৮, তারিখ ১৮/০৭/২০১৯, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১))। 
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর জনাব বাপ্পি বর্ধন বাপী সাংবাদিকদের জানান, আসামি পলাতক দেখিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে আসামি দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আসামি রনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে পেপার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসামির অনুপস্থিতিতে মামলার বিচার কার্য পরিচালনা করেন নীলফামারী থানা পুলিশ ধর্ষক রনিকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়। 
অপরদিকে কন্যা সন্তান রোজামণি আক্তার রুনা (৫) পিতার পরিচয় না থাকায় জন্ম নিবন্ধন কিংবা স্কুলে ভর্তি হতে না পারায় নিরুপায় হয়ে আসামীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে র‌্যাবে কাছে একটি অভিযোগ পত্র প্রদান করেন কুলসুম।  
র‌্যাব ১৩ নীলফামারী সিপিসি ২ এর কো¤পানি কমান্ডার মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের জানান, ৬ বছর আগে আসামীর মুখে দাড়ি ছিল না। বর্তমানে দাড়ি রেখে আসামি রনি নিজের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করেছিল। বুধবার(১৯ জুন) সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে রনি বাড়ি আসতেছে বলে পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে। রনিকে সনাক্ত করার জন্য পার্বতীপুরে আমাদের র‌্যাবের সদস্যরা অবস্থান নেয়। রনিকে ট্রেনে শনাক্ত করা হলে নীলফামারী রেলস্টেশনে নামলে স্টেশনের মুলফটকের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ঘটনার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামীকে নীলফামারী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। 
নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিকালে আসামীকে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। 

মন্তব্য করুন


Link copied