স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারী সরকারি কলেজ এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র। চারিদিকে সীমানা প্রাচীর। প্রধান ফটকের সামনে বিশাল প্যান্ডেল। সেখানে লিখা রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সেবায় পৌর বিএনপি ও ছাত্রদলের হেল্প ডেক্স। প্যান্ডেলের নিচে অসংখ্য বসার আসন, সেখানে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বসেছেন আর পরীক্ষার্থীদের হাতে হাতে দেয়া হচ্ছে কলম, স্কেল ও একটি করে পানির বোাতল। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার কক্ষ ও আসন খুজে দিতে সহায়তা করা হচ্ছে। প্রধান ফটক দিয়ে শিক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করছিল।
স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে বিএনসিসি সদস্যরা পরীক্ষার্থীদের সহায়তা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনের এমন চিত্র ছিল ওই কলেজ কেন্দ্রে।
নেতাকর্মীরা নিজ খরচে ও স্থানীয় সহযোগিতায় এই মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখছিল। এসময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মন্তব্য করতে শোনা যায়, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও ছাত্রদল কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, এ যেন পরীক্ষার্থীদের সহায়তার এক মানবিক উদ্যোগ।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, এই ধরনের উদ্যোগ একদিকে যেমন প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ায়, তেমনি রাজনৈতিক সংগঠন গুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তও হয়ে দাঁড়ায়।এই সেবামূলক কার্যক্রম প্রমাণ করে-একটি আদর্শিক সংগঠন কেবল রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত থাকে না,বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাদের মূল লক্ষ্য।
এসময় পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আল মাসুদ চৌধুরী, নীলফামারী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব পায়েলুজ্জামান রকসি, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আসলাম পারভেজ বিদ্যুৎ, কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ আহমেদ সৈকত ও রইসুল ইসলাম রানা সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, শিক্ষা ও মানবিক সেবায় ছাত্রদলের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি আমাদের রাজনৈতিক কর্মকা-ের বাইরে গিয়ে মানবিক দায়িত্ব পালনের একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। পৌর বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা এই কার্যক্রমে ছাত্রদলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজে পাশে থাকব।
নীলফামারী সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রদলের সদস্য সচিব পায়েলুজ্জামান রকসি বলেন, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার কক্ষ খুঁজে পেতে সহযোগিতা, পানি সরবরাহ, প্রয়োজনীয় কলম-পেন্সিলের ব্যবস্থা ও তথ্য সহায়তা দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দূরদূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা যাতে কোনো বিড়ম্বনার শিকার না হন, সেজন্য রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমাদের এই উদ্যোগ।