আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

নীলফামারীর মেধাবী রঞ্জনের ভর্তির ফি এর সহযোগীতা করলেন আইজিপির সহধর্মীনী

বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, রাত ০৮:৩১

Advertisement Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী॥ নীলফামারীর ডোমারের দিনমজুর রমেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে মেধাবী ছাত্র রঞ্জন চন্দ্র রায়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফি দিয়ে সহযোগীতা করেছেন পুলিশের মহা পরিদর্শক(আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সহধর্মীনী ও পুলিশ নারী কল্যান সমিতি (পুনাক) জীশান মীর্জা। 
আজ বৃহস্পতিবার(২৩ ডিসেম্বর) বিকালে নীলফামারী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ভর্তির ওই ফি এর অর্থ মেধাবী রঞ্জন ও তার বাবা মা এর হাতে তুলে দেন নীলফামারী পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমানের সহধর্মীনী ও নীলফামারীর পুলিশ নারী কল্যান সমিতি(পুনাক) এর সভাপতি  তাসমিয়া জান্নাত । রঞ্জনের হাতে এ সময় নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম পিপিএম, ডোমার থানার ওসি সাইফুল ইসলাম, নীলফামারীর কোর্ট ইন্সপেক্টর ওসি মোমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের মিরজাগঞ্জ গ্রামে রঞ্জনের বাড়ি। তাঁর বাবা রমেশ চন্দ্র রায় (৫০) কৃষিক্ষেতে দিনমজুরের কাজ করেন। মা নমিতা রাণী রায় (৪০) গৃহিণী। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় রঞ্জন। পরিবারের সম্বল বলতে রয়েছে বাড়ির ভিটার ১০ শতক জমি। বাবা দিন মজুরী করে প্রতিদিন আয় করেন ৪০০ টাকা। বাবার মা এর সংসারে অভাব কষ্টের মাঝেও রঞ্জন পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ ৪.২৫, জেএসসিতে ৪.৭৫, এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ এবং এইচএসসিতেও জিপিএ ৫ পায়। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিট থেকে পরীক্ষা দিয়ে  মেধাস্থান দখল করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে কলা অনুষদের সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়।
মেধাবী রঞ্জন বলেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পুলিশের মহা পরিদর্শক(আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সহধর্মীর সহযোগীতা পেয়ে । আগামী ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হবো। এ জন্য রঞ্জন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।তবে রঞ্জনের  বাবা রমেশ চন্দ্র রায় ও  মা নমিতা রাণী রায় রয়েছে আরেক চিন্তায়। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে না হয় ছেলে ভর্তি হলো। কিন্তু লিখাপড়ার খরচ ও থাকা খাওয়ার প্রতিমাসের ব্যয় কি ভাবে করবেন এ নিয়ে তারা দিশেহারা। তাই তারা এই রঞ্জনের লিখাপড়া ও থাকা খাওয়ার খরচ বহনে দেশের ধনার্ঢ ব্যাক্তিদের কাছে সহাযোগীতা চান।  পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন রঞ্জনের পরবর্তীতে কোন সহযোগীতা লাগলে সেটিও আমার দেখবো।

মন্তব্য করুন


Link copied