নিউজ ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া- এটার সঙ্গে আমি একমত। যারা ওয়েজ বোর্ড দেবেন তাদেরকে আমার সুরক্ষা দিতে হবে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রেস সচিব বলেন, আরেকটি হচ্ছে, যারা টিভি, অনলাইন বা প্রিন্টের জন্য লাইসেন্স নেবেন তাদের ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা সাংবাদিক কল্যাণ ফান্ডে জমা রাখতে হবে। যাতে প্রতিষ্ঠান যখন দুর্বল হয়ে যাবে, সাংবাদিকদের বেতন দিতে পারবে না, ওই ফান্ড থেকে তাদের বেতন-পেনশন দেওয়া হবে। সাংবাদিকদের বেসিক বেতন ৩৫ হাজার টাকা হওয়া উচিত উল্লেখ করে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা টিভি, অনলাইন বা প্রিন্টের লাইসেন্স সস্তা করে ফেলেছি। টাকা নাই, পয়সা নাই অথচ দেখা যায় একজন তিনটি পত্রিকার মালিক। সাংবাদিকদের বেতন দিতে পারেন না। এটা তো হতে পারে না।’
একজন সাংবাদিককে বেসিক কমপক্ষে ৩৫ হাজার টাকা বেতন দেওয়া উচিত।
আপনারা যদি এটা নিয়ে বিক্ষোভ করেন, আমাকে ডাকবেন। আমিও আসব।’
সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতাদের পত্রিকার সম্পাদক পদ থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের কোনো নেতা পত্রিকার সম্পাদক থাকবেন না। থাকলে পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এটা এমন ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করে যে, আপনি এক দিক দিয়ে মালিক হচ্ছেন, আরেক দিকে শ্রমিকদের নেতা হচ্ছেন। কোথায় আপনি আওয়াজ তুলবেন আমাকে এইটা দাও, ওইটা দাও। কিন্তু তা না করে আবার আপনি মালিকের আসনে বসে আছেন। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে অনেক সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা অনেক পত্রিকার মালিক হয়েছেন। এরা সাংবাদিকদের অধিকারের বিষয়ে কোনোদিন সোচ্চার ছিলেন না।
প্রেস সচিব বলেন, মিডিয়া কমিশনের যে রিপোর্ট সেটা আপনারা ভালো করে পড়বেন। আপনাদের ভালো লাগবে। পড়লে অনেক ভালো কিছু পাবেন। এই সেক্টরের অনেক ইতিহাস জানবেন। হাসিনার আমলে জোচ্চুরি করে কীভাবে টিভির লাইসেন্স পেয়েছে সেটা জানবেন। বাংলাদেশে যারা আমরা জার্নালিজম করি, তারা তো অন্যান্যদের দুর্বলতা নিয়ে লিখি। আমাদের যে সমস্যাগুলো সেগুলো আমাদের দেখা উচিত। সমস্যাগুলোর অনেক কারণ আছে। এ সরকার সে কারণগুলো খুঁজছে।