আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দায়ের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

রবিবার, ২৯ মে ২০২২, সকাল ০৮:৪৮

Advertisement Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী॥ স্কুলের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক পঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষনের চেস্টার অভিযোগ ও ঘটনার বিচার না করায় ইউপি চেয়ারম্যানকেও আসামী করা নিয়ে রহস্য সৃস্টি হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পূর্ব শক্রতার জেরে মারপিটের ঘটনা আড়াল করতেই কথিত ঘটনা সৃস্টি করে  ডিমলা থানায় দায়ের করা হয়। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারায় এমন একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলন করেছে নাউতারা সোনামুনির ডাঙ্গা স্কুল কমিটি,শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৮ মে) দুপুরে স্কুলের হল রুমে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

স্কুল কমিটির সভাপতি সামছুল হক অভিযোগ তুলে বলেন, গত ১ মে রাতে পূর্বশক্রতার জের করে এলাকার নিজপাড়া গ্রামের ফয়জুল হকের দুই ছেলে মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী ও তার ছোট ভাই লিটন ইসলাম ও তাদের লোকজন উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহামুদুল হাসান নয়নকে নাউতারা বাজারে মারপিট করে। যা এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি করে। এই ঘটনা নিয়ে স্কুল কমিটি নাউতারা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আশিক ইমতিয়াজ মোর্শেদ মনির মাধ্যমে স্কুল চত্বরে বৈঠক আহবান করে। সেই বৈঠকে মারপিটকারী দুই ভাই সহ তাদের লোকজন উপস্থিত হয়নি। ফলে ইউপি চেয়ারম্যান সন্ধ্যায় তার ইউনিয়ন পরিষদে পুনরায় বৈঠক আহবান করে। কিন্তু সেখানেও উপস্থিত না হয়ে উক্ত স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীর বাবা প্রধান শিক্ষককে মারপিটকারী লিটন ইসলাম তার মেয়েকে প্রধান শিক্ষক ধর্ষনের চেষ্টা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অপরাধ এনে গত ৩ মে সন্ধ্যায় ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়ের করে (মামলা নম্বর ০২)। সেই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে দুই নম্বর আসামী করে উল্লেখ করা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনার বিচার না করে প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নেয়।

সংবাদ সম্মেলনে সামছুল হক জানান, ওই মামলায় ঘটনার তারিখ দেখানো হয় গত ২৮ এপ্রিল সকাল ১১টায় প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে। সেদিন স্কুলের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা ছিল এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসাবে আমি পরীক্ষার সময় আমি পরীক্ষা কক্ষ পরিদর্শন ও পরবতিতে প্রধান শিক্ষকের অফিসে বসেছিলাম। এমন মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তারা মামলা দিয়ে প্রধান শিক্ষককে মারপিট করার বিষয়টি আড়াল করার চেস্টা করেছে। পাশাপাশি উল্টো দোষারোপ করে ইউপি চেয়ারম্যানকেও আসামী করেছে।

স্কুলের দপ্তরী আতোয়ারা বেগম (২৫) জানান, আমাদের স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষনের চেস্টায় প্রধান শিক্ষককে আসামী করার খবর পেয়ে আমি হতবাক হয়ে পড়ি। প্রধান শিক্ষক স্যার ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি পরীক্ষার হল পরিদর্শনের পাশাপাশি অফিস ঘরে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বসেছিল। অথচ মামলায় বলা হয়েছে অফিস ঘরে নাকি ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়েছে। এটি মিত্যা ও হয়রানী মুলত মামলা যা প্রধান শিক্ষকেকে মারপিট করার ঘটনা আড়ালের চেস্টা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্কুলটির সহকারী প্রধান শিক্ষক মিলন রায় সহকারি শিক্ষিকা শিউলি আক্তার সহ অন্যান্য শিক্ষকরা একই অভিযোগ করেন।

স্কুলটির নার্সারী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৬৫ জন। এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেনীতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৩ জন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলে মেয়ে উভয় রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলে আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ সকল শিক্ষক আমাদের সন্তানদের মতো দেখেন। তারা আমাদের অভিভাবক। সেখানে এলাকার সুনামখ্যাত স্কুলটির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। সুষ্টু তদন্ত করা হলে প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসবে।

এ প্রসঙ্গে সহকারি প্রধান শিক্ষক মনি রায় বলেন, মামলার বাদীর মেয়ে আমাদের স্কুলে পঞ্চম শ্রেনীতে এসে ভর্তি হয় জানুয়ারী মাসে। এর আগে মেয়েটি ডিমলা আল আরাব স্কুলে চতুর্থ শ্রেনীতে পড়তো। মেয়েটি বাবা অনেক অনুরোধ করে তার মেয়েকে এখানে ভর্তি করায়। কিন্তু আমরা বুঝতে পারিনি প্রধান শিক্ষকের সাথে পূর্ব শক্রতার জেরে তারা পূর্বপরিকল্পনা মতো মারপিট ও ঘটনা আড়াল করতে মিথ্যা ধর্ষনের চেষ্টার মামলা থানায় দায়ের করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বেশ কিছু শিক্ষার্থীর অভিভাবকগন অভিযোগ তুলে বলে মিথ্যা মামলা বাদীর বড় ভাই মামুন পাটোয়ারী যাকে আমরা এলাকায় গিট্টী বলে উপধী দিয়েছি। কারন সে সব সময় এলাকায় হয়রানীমুলক কাজ করে থাকে। সে আমাদেরকেও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ক্যু-প্রস্তাব দিয়েছিল। যা আমরা শুনিনি। ফলে সে তার ছোট ভাই ও ছোট ভাইয়ের মেয়েকে দিয়ে এমন কল্প কাহিনী তৈরী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। সুষ্ঠ তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে প্রধান শিক্ষকে মারপিট আড়াল করতেই তারা এমনটি ঘটিয়েছে।

এ ব্যাপারে ডিমলা থানার ওসি লাইছুর রহমান বলেন, বাদী তার পঞ্চম শ্রেনী পড়–য়া মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছে সেই সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনায়ন করেছে। মামলাটি তদন্ত চলছে। তবে কোন আসামীতে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। 

মন্তব্য করুন


Link copied