আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

পাকিস্তানের সঙ্গে স্থগিত, বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন চুক্তি চায় ভারত

শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, রাত ০৮:৩৮

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  আগামী বছর ভারতের সঙ্গে শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের গঙ্গা নদীর পাণিবণ্টন বিষয়ক গঙ্গা চুক্তি। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে নিজেদের ‘স্বার্থ অনুযায়ী’  নতুন চুক্তির ব্যাপারে ভাবছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস।

তারা বলেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ পানি চুক্তি বাতিলের পর বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান গঙ্গা চুক্তির একাধিক বিকল্প অথবা এটিতে সংযোজন-বিয়োজনের ব্যাপারে ভাবছে দিল্লি।

গঙ্গার পানি বণ্টন বিষয়ক চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে। ৩০ বছর আগে ১৯৯৬ সালে এই চুক্তিটি কার্যকর হয়েছিল। এখন নতুন করে চুক্তির বিষয়টি সামনে আসছে। যেখানে নতুন চুক্তির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমঝোতার প্রয়োজন। সেখানে ভারত সম্পূর্ণ নতুন একটি চুক্তি নিয়ে ভাবছে যেখানে তাদের ‘বর্তমান উন্নয়নমূলক বিষয়াবলীর’ বিষয়টি থাকবে।

সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টনের একটি কাঠামো তৈরি করেছিলেন। এতে বলা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কা বাঁধে, প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।

মূলত ফারাক্কায় পানি বন্টন নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল সেটি নিরসনে এ চুক্তিটি হয়।

ভারত ১৯৭৫ সালে ফারাক্কা বাঁধ সচল করে। এই বাঁধের মাধ্যমে গঙ্গা থেকে পানি হুগলি নদীতে নিয়ে যাওয়া হয় যেন কলকাতা বন্দর নৌ চলাচলের উপযোগী থাকে।

গঙ্গা চুক্তির মাধ্যমে উজানের দেশ ভারত ভাটির দেশ বাংলাদেশকে কথা দেয় তারা ফারাক্কা বাঁধে পানি সরবরাহ ঠিক রাখবে। এই বাঁধটি তৈরি করা হয়েছে বাঘিরথি নদীতে। যা বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে ভারত কলকাতা বন্দর ট্রাস্টের জন্য গঙ্গার ৪০ হাজার কিউসেক পানি একটি খালের মধ্যে নিয়ে যায়।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর ১১ মার্চ থেকে ১১ মে পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই প্রতি ১০ দিনের জন্য ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাবে। কিন্তু ভারত এখন নতুন চুক্তি করে এই সময়টায় আরও ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক বেশি পানি চায়। তাদের দাবি এখন যেহেতু তাদের কৃষির প্রসার ঘটেছে তাই আরও বেশি পানির প্রয়োজন।

তারা এখন তাদের সেচ, বন্দর রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আগের চেয়ে বেশি পানি চেয়ে নতুন চুক্তি সাজাচ্ছে।

ভারতের কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক্ষেত্রে একমত পোষণ করেছে বলে জানিয়েছে ইকোনোমিক টাইমস। তাদের মতে, এখন তাদের যে পরিমাণ পানির প্রয়োজন সেটি বর্তমান গঙ্গা চুক্তি মেটাতে পারছে না।

মন্তব্য করুন


Link copied