স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ দীর্ঘ নয় বছর বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন ৭০ বছরের বৃদ্ধা সুফিয়া বেওয়া। তাকে পাওয়া গেল নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার চাঁপানী বাজারে। শুক্রবার(১৭ নবেম্বর) বিকালে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে ডিমলা থানা পুলিশ। এরপর খুঁজে নেয়া হয় বৃদ্ধার পরিবারকে। শনিবার(১৮ নবেম্বর) সকাল হতে না হতেই ডিমলা থানায় হাজির হন বৃদ্ধার স্বজনরা। বৃদ্ধা সুফিয়াকে তাঁর ছেলে বাবুল হোসেন (৫১) ও মেয়ে ফাতেমা আক্তারের (৫০) কাছে হস্তান্তর করেন ডিমলা থানার ওসি দেবাশীষ রায়। এরপর বৃদ্ধা ফিরে যায় যার আপন ঠিকানায়। মা সুফিয়া খাতুনকে ফিরে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন।বৃদ্ধা সুফিয়া খাতুন দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ডাকেশ্বরী গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী।
বৃদ্ধার ছেলে বাবুল হোসেন জানান, ৯ বছর আগে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন তাঁর মা সুফিয়া খাতুন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে কোথাও পায়নি। পাঁচ বছর আগে তাঁদের বাবারও মৃত্যু হয়। পুলিশের মানবিকতায় হারানো মাকে এত দিন পরেও ফিরে পেয়ে আমরা শান্তি পেলাম। তবে বাবা আজ বেঁচে নেই।
স্থানীয়রা বলেন, ওই বৃদ্ধা গত ৮ থেকে ৯ বছর ধরে চাপানি বাজারে অবস্থান করছিল। এলাকার মানুষজন তাকে তিনবেলা খেতে দিতো। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানায় এলাকাবাসী।
ডিমলা থানার উপপরিদর্শক আফছার আলী বলেন, চাপানি বাজারের একটি গলিতে ওই বৃদ্ধা মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল ছিল। তাঁর দেওয়া আংশিক তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন থানায় খোঁজ-খবর নিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। বৃদ্ধার ছেলে বাবুল হোসেন জানান, ৯ বছর আগে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন তাঁর মা সুফিয়া খাতুন। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে কোথাও পায়নি। একপর্যায়ে তাঁরা মাকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। পাঁচ বছর আগে তাঁদের বাবারও মৃত্যু হয়। পুলিশের মানবিকতায় হারানো মাকে এত দিন পরেও ফিরে পেলেন।
ডিমলা থানার ওসি দেবাশীষ রায় বলেন, বৃদ্ধার দেয়া তথ্যের উপর দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানায় বৃদ্ধার ছবি পাঠিয়ে পরিচয় জানার চেষ্টা করা হয়। সেখানে থানার পুলিশের সহযোগিতায় তাঁর সঠিক পরিচয় পাওয়া যায়।