 
                                                                        
                                                                        
                                        
দিনাজপুর  প্রতিনিধি; দিনাজপুরে বেগুন চাষে সফল তিন বন্ধু। ভালো ফলনে খুশি তারা। যৌথ উদ্যোগে শুরু করা এই চাষ থেকে দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন তরুণ কৃষকরা।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘি ইউনিয়নের কুশলপুর গ্রামের তিন বন্ধু একেএম আরিফ, নুরুজ্জামান ও আজমল হক। ব্যক্তিগতভাবে কৃষিকাজে যুক্ত থাকলেও, এবার প্রথমবারের মতো যৌথভাবে ৫৩ শতক জমিতে আধুনিক মালচিং পদ্ধতিতে ঢোপা জাতের বেগুন চাষ করেছেন তারা। জমি প্রস্তুত, চারা উৎপাদন থেকে শুরু করে সার ও সেচ—সবকিছুই করেছেন নিজেদের ব্যবস্থাপনায়। খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই তারা বেগুন হারভেস্ট শুরু করবেন। আর সবকিছু ঠিক থাকলে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার বেগুন বিক্রির আশা করছেন তিন বন্ধু।
বেতদিঘী ইউনিয়নের কুশলপুর গ্রামের বেগুন চাষি একে এম আরিফ ও নুরুজ্জামান বলেন, আমরা এই প্রজেক্টটা তিন বন্ধু মিলে শুরু করেছি। আমাদের প্রজেক্টের নাম ‘আয়াত এগ্রো’। এই জমিটার আয়তন ৩৫ শতাংশ, আর পাশে ১৮ শতাংশ। মোট ৫৩ শতাংশ জমিতে আধুনিক মালচিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করছি। আমরা নিজেরাই কোকো বিট ট্রেতে চারা উৎপাদন করেছি। চারা উৎপাদনসহ সবকিছু মিলে আমাদের খরচ হয়েছে প্রায় ৬০-৬৫ হাজার টাকা। ইনশাআল্লাহ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হারভেস্টিং শুরু করব। সবকিছু ঠিক থাকলে আমরা আশা করছি দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার বেগুন বিক্রি হবে।
বেগুন বাগানের শ্রমিক আব্দুল কাশেম বলেন,আমি প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কাজ করি। এখান থেকে যা পাই তা দিয়ে আমার পরিবার ভালো চলে।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফ আব্দুল্লাহ মোস্তাফিন বলেন,  আধুনিক মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করলে ফলন বেশি ও রোগের আক্রমণ কম হয়। বর্তমানে কৃষক মালচিং পদ্ধতিতে চাষে বেশ আগ্রহী। আমরা মাঠ পর্যায়ের কৃষিকদের খোঁজ খবর রাখছি এবং সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি।    
যৌথ উদ্যোগ, আধুনিক পদ্ধতি আর পরিশ্রম-এই তিন উপাদানের সমন্বয়ে সফলতার মুখ দেখছেন দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলার তিন বন্ধু। ভবিষ্যতে এই সাফল্য অন্য তরুণদেরও কৃষিমুখী করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।