আর্কাইভ  শনিবার ● ২২ নভেম্বর ২০২৫ ● ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২২ নভেম্বর ২০২৫
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন নিহত

দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন নিহত

পঞ্চগড়ে হিমেল বাতাসে বাড়ছে শীতের দাপট

পঞ্চগড়ে হিমেল বাতাসে বাড়ছে শীতের দাপট

ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

সেনাপ্রধানকে ‘সেনাবাহিনী পদক’ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

সেনাপ্রধানকে ‘সেনাবাহিনী পদক’ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফোন স্ক্রলিংয়ের নেশা? এই ৫ টিপসেই মিলবে মুক্তি

রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, রাত ০৮:৩৪

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  বর্তমানে দিনের একটি বড় অংশই কাটে মোবাইল ফোনে চোখ রাখার মধ্য দিয়ে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করতে করতে সময় কোথা দিয়ে চলে যায় টেরই পাওয়া যায় না। কিন্তু অতিরিক্ত স্ক্রলিং মানে শুধুই সময়ের অপচয় নয়, এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ঘুমের সমস্যা, মানসিক চাপ, চোখের সমস্যা এবং সম্পর্কের দূরত্বও।

চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, ফোন স্ক্রলিংয়ের প্রতি এই আসক্তি ‘ডোপামিন হিট’-এর মতো কাজ করে—অর্থাৎ প্রতিবার স্ক্রল করলেই আমরা এক ধরনের মানসিক তৃপ্তি পাই। কিন্তু এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হতে পারে ভয়ঙ্কর।

তবে সুখবর হলো, ইচ্ছা করলেই এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। জেনে নিন ৫টি কার্যকর টিপস, যা আপনাকে ফোন স্ক্রলিংয়ের নেশা থেকে মুক্ত করতে পারে:

১. স্ক্রিন টাইম নির্ধারণ করুন
প্রতিদিন কতক্ষণ আপনি ফোনে সময় কাটাচ্ছেন—তা মনিটর করা শুরু করুন। অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন, উভয় প্ল্যাটফর্মেই স্ক্রিন টাইম ট্র্যাক করার ফিচার আছে। সময়সীমা ঠিক করে দিন, যেমন: ১ ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়া, ৩০ মিনিট ভিডিও ইত্যাদি।

২. নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন
প্রতিটি ‘ডিং’ বা ‘বিপ’ আপনাকে আবার ফোনের দিকে হাত বাড়াতে বাধ্য করে। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন। এতে ফোনে চোখ রাখার প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে।

৩. সময় কাটানোর বিকল্প খুঁজুন
খালি সময় পেলেই ফোনে হাত দেওয়া একধরনের রিফ্লেক্সে পরিণত হয়েছে। তার বদলে বই পড়া, হাঁটতে যাওয়া, ছোট কাজকর্ম করা কিংবা অন্যের সঙ্গে কথা বলা—এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলুন।

৪. রাতে ফোন রাখা হোক দূরে
ঘুমের আগে স্ক্রলিং অভ্যাস শরীর ও মস্তিষ্ককে বিপর্যস্ত করে। রাতে ফোনটি বিছানা থেকে দূরে রাখুন। সম্ভব হলে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ মোড চালু করে দিন।

⏳ ৫. সোশ্যাল মিডিয়া ডিটক্স করুন
সপ্তাহে অন্তত একদিন বা মাসে কয়েকদিন ‘সোশ্যাল মিডিয়া ফ্রি ডে’ পালন করুন। বন্ধ রাখুন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক—দেখবেন সময়টা আপনার নিজের মনে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবার স্ক্রলিং কমিয়ে দিলে আপনি কেবল সময়ই নয়, মানসিক প্রশান্তিও ফিরে পাবেন। তাই দেরি না করে আজই শুরু করুন ‘ডিজিটাল ডিটক্স’। আপনার ভবিষ্যতের ‘আপনি’ এর জন্য কৃতজ্ঞ থাকবেন।

 

মন্তব্য করুন


Link copied