আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ৭ অক্টোবর ২০২৫ ● ২২ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ৭ অক্টোবর ২০২৫
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২০ ডিসেম্বর

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২০ ডিসেম্বর

বিসিবি পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা

বিসিবি পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা

এআই-ভিত্তিক অপব্যবহার প্রতিরোধে কতটা প্রস্তুত ইসি?

এআই-ভিত্তিক অপব্যবহার প্রতিরোধে কতটা প্রস্তুত ইসি?

অপরাধের ‘স্বর্গরাজ্য’ মোহাম্মদপুর, ‘আস্তানা’ জেনেভা ক্যাম্প

অপরাধের ‘স্বর্গরাজ্য’ মোহাম্মদপুর, ‘আস্তানা’ জেনেভা ক্যাম্প

বন্ধুর স্ত্রীকে পটিয়ে বিয়ে, ১০ দিনের মাথায় যুবকের ‘আত্মহত্যা’

রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, রাত ০২:৩৬

Advertisement

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :  গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বন্ধুর স্ত্রীকে প্রেমে পটিয়ে বিয়ে করার দশদিনের মাথায় হৃদয় মিয়া (২৫) নামে এক যুবক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পার্বতীপুর গ্রাম থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

হৃদয় ওই গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে। জানা গেছে, ঘরে দশ মাসের কোলের সন্তান রেখে হৃদয়ের হাত ধরে স্বামীর সংসার ছেড়ে পালিয়ে আসে প্রেমিকা লামইয়া (১৭)। লামইয়া খুলনার তেরখাদা উপজেলার জয়সোনা গ্রামের সাইদুজ্জামানের মেয়ে।  

মেয়েটির আগের স্বামীর নাম আকাশ সর্দার। তিনি শরীয়তপুর সদরের শিবচর উমেদপুর এলাকার বাবা লিটন সর্দারের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ঢাকার গাজীপুর বাইপাইল এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করার সুবাদে খুলনার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে হৃদয়ের বন্ধুত্ব হয়। পরে তার স্ত্রী লামইয়ার সঙ্গে হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করে চাকরি ছেড়ে এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেন। বিয়ের সপ্তাহ না পেরতেই লামইয়া তার আগের সংসারে ফিরে যেতে চায়। এনিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। শনিবার ভোরে লামইয়ার আত্মচিৎকারে প্রদিবেশীরা ছুটে এসে হৃদয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

এ ব্যাপারে লামইয়া বলে, ‘প্রেম-সম্পর্ক করে আমাদের বিয়ে হলেও আগের সংসারে আমার সন্তান আছে। সে কারণে এখানে আমার মন বসছিল না। তাই আমি সেখানে ফিরে যেতে চাইলে হৃদয়ের সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ওড়না দিয়ে হৃদয় গলায় ফাঁস দেন। আমি বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ’

মেয়েটি আরও বলে, ‘আমার স্বামীর সঙ্গে বন্ধুত্বের সুবাদে প্রায়ই হৃদয় আমাদের বাড়িতে আসতো। হৃদয়ের সঙ্গে আমার মোবাইলফোনেও কথা হতো। কথা বলতে বলতে একটা সময় তার প্রতি আমার দুর্বলতা তৈরি হয়। কিন্তু আমি কখনই আমার সংসার থেকে আলাদা হতে চাইনি। হৃদয় বারবার চাপ দিলেও আমি ওকে বলতাম, আমি স্বামী ছাড়তে পারি কিন্তু সন্তান কীভাবে ছাড়ব। তারপরও এক কথায় তার চাপেই আমি কোলের সন্তান-সংসার ছাড়তে বাধ্য হই। পালিয়ে এসে হৃদয়কে বিয়ে করি। পরে আমি ফিরে যেতে চাইলে রাগ-অভিমানে আত্মহত্যা করে হৃদয়। ’

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভট্ট বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত হৃদয়ের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন থানায় এসেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য করুন


Link copied