আর্কাইভ  সোমবার ● ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ● ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৪ নভেম্বর ২০২৫
হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে

হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে

হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে রায় ২৭ নভেম্বর

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি
হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে রায় ২৭ নভেম্বর

হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর

হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর

রাজনীতি ছেড়ে 'পাপমুক্ত' হতে দুধ দিয়ে গোসল!

রাজনীতি ছেড়ে 'পাপমুক্ত' হতে দুধ দিয়ে গোসল!

বাংলাদেশি ৬ টিভির ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ ভারতে, ব্যাখ্যা না পেলে নেয়া হবে পাল্টা পদক্ষেপ

শনিবার, ১০ মে ২০২৫, দুপুর ০৪:২৬

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  ভারতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ছয়টি জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলের ইউটিউব সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইউটিউব জানিয়েছে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে দেশটির সরকারের অনুরোধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভারত থেকে এসব চ্যানেলের ইউটিউব কনটেন্ট আর দেখা যাচ্ছে না।

বন্ধ হওয়া চ্যানেলগুলো হলো: যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন, মোহনা টিভি, সময় টিভি এবং ডিবিসি নিউজ। এই ছয়টি চ্যানেলই ইউটিউব ভেরিফায়েড এবং এদের সম্মিলিত সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৫ কোটিরও বেশি।

ভারতীয় ইউজাররা এসব চ্যানেলের ইউটিউব পেজে প্রবেশের চেষ্টা করলে একটি বার্তা দেখতে পাচ্ছেন, “এই কনটেন্টটি বর্তমানে এই দেশে প্রবেশযোগ্য নয়। এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত সরকারি আদেশের আওতায় রয়েছে।”

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ইউটিউবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তিনি বলেন, “ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার এতে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক ভোক্তা অধিকার নীতির পরিপন্থী।”

তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠাবে। যদি গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা না পাওয়া যায়, তাহলে বাংলাদেশও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে।

ফয়েজ আহমদ সতর্ক করে বলেন, “যদি এটি ভারতের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ হয়, তাহলে বাংলাদেশও প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।” তিনি অভিযোগ করেন, ভারতের কিছু গণমাধ্যম, বিশেষ করে রিপাবলিক বাংলা, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, যার প্রমাণ সরকারের কাছে রয়েছে।

মন্তব্য করুন


Link copied