আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ● ১২ পৌষ ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
মনোনয়নপত্র তুললেন  হেভিওয়েটরা প্রার্থীরা

মনোনয়নপত্র তুললেন হেভিওয়েটরা প্রার্থীরা

১৯ বছর পর বাবার কবরের পাশে তারেক রহমান

১৯ বছর পর বাবার কবরের পাশে তারেক রহমান

জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাচ্ছেন তারেক রহমান, দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ

জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাচ্ছেন তারেক রহমান, দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ

অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ হারালেন আসিফ মাহমুদ

হাদিকে নিয়ে পোষ্ট
অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ হারালেন আসিফ মাহমুদ

বেনজীরের বিদেশে অবৈধ সম্পদের খোঁজে এমএলআর পাঠাল দুদক

সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, রাত ০৮:০৭

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে থাকা বিদেশি সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে পারস্পরিক আইনি সহায়তার আবেদন (এমএলআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সাক্ষ্য-প্রমাণের জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে দুদকে দায়ের করা এক মামলায় বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট অনুমোদন করেছে কমিশন। শিগগিরই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা যায়, কমিশনের নোটিশে সম্পদ বিবরণী দাখিলকালে বেনজীর আহমেদ ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৫ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য জমা দেন। তবে তদন্তে তার নামে ৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৭ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৮ কোটি ১২ লাখ ৩১ হাজার ২৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ থাকার প্রমাণ মেলে। তিনি ১ কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার ৬২২ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ২ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার ২৯৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।

এ ছাড়া অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস ও মালিকানা গোপনের উদ্দেশ্যে তিনি তার নাবালিকা কন্যা যাহরা যারীন বিনতে বেনজীরের নামে অর্জিত সম্পদ সম্পদ বিবরণীতে প্রদর্শন করেননি।

দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদের নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এর বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ মাত্র ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৬৮ টাকা। নির্ধারিত সময়ে তিনি ১ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৩ টাকা ব্যয় করেছেন। ফলে তার অবৈধ সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকা।

দুদক জানায়, বেনজীর আহমেদ তার অপরাধলব্ধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করে তা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যৌথ মূলধনী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। এ কার্যক্রম দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।

মন্তব্য করুন


Link copied