বিশেষ প্রতিনিধি॥ ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে বুধবার(২৯ মে) নীলফামারী সদর উপজেলার ভোটে কিছু ভোট কেন্দ্রের ফলাফল অসঙ্গতির অভিযোগ করা হয়েছে। ফলাফলে অসঙ্গতির কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী (ফুটবল প্রতীক) প্রার্থী আরিফা সুলতানা লাভলী।
লাভলী ভোটের ফলাফল মেনে নিলেও বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের অসঙ্গতি মেনে নিতে পারেননি। এটা পরিকল্পিত বলে তিনি অভিযোগ তুলেন।
ভোটের পরদিন বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে নীলফামারী প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লাভলী বলেন, সদরের চওড়া বড়গাছা, লক্ষীচাপ, গোড়গ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে।
আরিফা সুলতানা লাভলী অভিযোগ করে বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম থাকা সত্ত্বেও কিছু কেন্দ্রের ফলাফলে এক হাজার থেকে দেড় হাজার ভোট দেখানো হয়েছে পছন্দের প্রার্থীর। যা বাস্তব সম্মত নয়। উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন, কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ১৪৭টি ভোট কাস্ট হয়েছে দেখানো হয়েছে। একই পরিমাণ ভোট দেখানো হয়েছে লক্ষীচাপ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও। এ থেকে বোঝা যায় ফলাফল প্রকাশে অসংগতি রয়েছে। তিনি আরো বলেন, হয়ত কোনোভাবে আমাকে দাবিয়ে রাখার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হতে পারে।
নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটারিং কর্মকর্তা মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কারো অভিযোগ থাকলে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারেন। নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবে।
উল্লেখ যে, সদর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি সান্তনা চক্রবর্তী। প্রজাপতি প্রতিকে তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৪০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী ফুটবল প্রতিকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫০ ভোট। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন চার প্রার্থী। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৪। সেখানে পড়েছে ৮৩ হাজার ৭০৩ ভোট। ভোটের শতকরা হার ২৩ ভাগ।