আর্কাইভ  সোমবার ● ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ● ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ১৭ নভেম্বর ২০২৫
শেখ হাসিনার রায়ে সন্তুষ্ট আবু সাঈদের পরিবার

শেখ হাসিনার রায়ে সন্তুষ্ট আবু সাঈদের পরিবার

চার দশকের রাজনৈতিক জীবন, শেষে ফাঁসির দণ্ড

শেখ হাসিনা
চার দশকের রাজনৈতিক জীবন, শেষে ফাঁসির দণ্ড

সাবেক আইজিপি মামুনের ৫ বছরের জেল

সাবেক আইজিপি মামুনের ৫ বছরের জেল

আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ

আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ

মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত শেখ হাসিনা: ট্রাইব্যুনাল

সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, দুপুর ০২:৪৩

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: জুলাই অভ্যুত্থানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ মিলেছে বলেও জানান ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। 

ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
 
এই মামলার প্রধান আসামি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্য দুই আসামি হলেন: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক এবং তারা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।
 
ট্রাইব্যুনাল আরও বলেছেন, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হয়ে সত্য উন্মোচন করেছেন। তাই তার অপরাধের সাজা সর্বোচ্চ হলেও সত্য উন্মোচন করায় সাজা কম হবে।
 
মামলার যত অভিযোগ

প্রথম অভিযোগ: গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ ও ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ উল্লেখ করে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ করে। গুলি করে দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়। আহত হন প্রায় ২৫ হাজার।

দ্বিতীয় অভিযোগ: হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ও অধীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে সেই নির্দেশ কার্যকর করেন। গত বছরের ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এএসএম মাকসুদ কামাল এবং ১৮ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে কথা বলেন শেখ হাসিনা। দুজনের সঙ্গে কথোপকথনের পৃথক অডিও রেকর্ড থেকে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোকে মারণাস্ত্র ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

মন্তব্য করুন


Link copied