নিউজ ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে মার্চ ফর ইউনিটিতে যোগ দিতে শহিদ মিনার এলাকায় জড়ো হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ছাত্র-জনতা। সবার স্বপ্ন ‘একটি কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের বাংলাদেশ’ গড়ার। সমাবেশ পিছিয়ে নেই আহতরা। শরীরে বুলেটের ক্ষত নিয়ে সমাবেশ এসেছেন অনেকেই।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর থেকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে একে একে ভিড়ছেন আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যরা।
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত হওয়া বগুড়ার ধুনট থেকে এসেছেন রাবার বুলেটের শিকার হন শিক্ষার্থী হোসাইন ইসলাম। ১৭ জুলাই বগুড়ার শেরপুরের ধুনটমোড়ে ১৮টির মতো রাবার বুলেটের শিকার হন শিক্ষার্থী হোসাইন ইসলাম। আহতদের তালিকায় তার ক্রমিক নম্বর ১৯ হাজার ৫৪। হোসাইন তার যমজ ভাই হাসান ইসলামকে নিয়ে বৈষম্যবিরোধীদের ডাকে শহিদ মিনারে এসেছেন। এখনও শরীরে বুলেটে ক্ষত নিয়ে চলতে হচ্ছে হোসাইনকে, নিয়মিত চিকিৎসকের কাছেও যেতে হয় তাকে।
ডেইলি বাংলাদেশের সঙ্গে কথা হলে হোসাইন ইসলাম বলেন, যেই আন্দোলনের জন্য শরীরের বুলেট এখনও বয়ে বেড়াচ্ছি, সেই আন্দোলন যেন কোনোভাবেই বৃথা না হয়ে যায়। যেই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে আন্দোলনে গিয়েছি সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ যেন হয়, সেটিই দাবি এখন। আর কোনো বৈষম্য চাই না, এই বাংলাদেশে। আমি ও আমার ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে এখানে এসেছি। এছাড়াও শেরপুর থেকে আমরা ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন এসেছি।
৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া মিরাজে পিতা ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, আমার সন্তান এই দেশের জন্য মারা গিয়েছে। ছেলে হারিয়ে গেলেও গর্ব হয় এমন এক সন্তানের পিতা হয়ে। আমি চাই, আমার ছেলে যেমন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছে, সেই বাংলাদেশ যেন গড়া হয়, তাহলেই আমার সন্তানের আত্মা শান্তি পাবে।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আজ শহিদ মিনারে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার কথা ছিল। পরে অন্তর্বর্তী সরকার এ ঘোষণাপত্র পাঠ করবে জানালে আজ ঘোষণাপত্র পাঠ হবে কি না তা নিয়ে বিভ্রান্তি শুরু হয়।
এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে বলা হয়, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি পালন করা হবে।