আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

যৌতুকের জন্য নির্যাতন॥গরম ছ্যাকার ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন গৃহবধু

মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২, বিকাল ০৬:২৪

Advertisement Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ যৌতুকের নির্মম নির্যাতন। গরম খুন্তির ছ্যাকা সহ অসংখ্য ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন গৃহবধু লতা আক্তার (২৫)। মাত্র ৩০ হাজার টাকার জন্য নির্মম নির্যাতনের যন্ত্রণা।  পাঁচ দিন ধরে ওই গৃহবধুর চিকিৎসা চলছে  নীলফামারীর ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। 
মঙ্গলবার(৮ নভেম্বর) অভিযোগে জানানো হয়, ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের হলহলিয়া হাজী পাড়া গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলামের  মেয়ে লতা আক্তারের সাথে  দেবীগঞ্জ উপজেলা সেনাপাতা গ্রামের মৃত আবু তাহের ছেলে সজীব হোসেন বাবুর (২৭) সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের সাড়ে তিন বছরের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে তিন লাখ ৩০ টাকার মধ্যে তিন লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। ‘অবশিষ্ট ৩০ হাজার টাকার জন্য একাধিকবার শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়েছে লতা। এবিষয়ে আপোষ মিমাংসার বৈঠকও হয়েছে কয়েকবার। কিন্তু পরিবর্তন নেই।’
লতা আক্তার অভিযোগ করে বলেন,‘৩০ হাজার টাকাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল  ১০টার দিকে আমার স্বামী বাবু ও শাশুরী জাহেদা খাতুন (৫৫) আমার ওপর শাররীক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে গরম খুন্তির ছ্যাকা দিতে থাকে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে। শরীরের অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে সেদিন বিকালে এলাকাবাসীর সহায়তায় পালিয়ে আসতে বাধ্য হই। এরপর ডোমার  হাসপাতালে ভর্তি হই।’ তিনি বলেন, বিয়ের ‘গত পাচঁ বছর ধরে তাদের নির্যাতনে আমার জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র সন্তান আর পরিবারের সন্মানের কথা চিন্তা করে সব কষ্ট সহ্য করেছিলাম। কিন্তু দিনে দিনে নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলতে চায়। আমি বিচার চাই ।’ 
এ ব্যাপারে লতা আখতারের স্বামী সজীব হোসেন বাবু মুঠো ফোনে যৌতুকের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,‘পারিবারিক কারণে রাগের বশে গালে থাপ্পর মেরেছি। বিষয়টি এতদূর গড়াবে বুঝতে পারিনি। 
ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা পারমিতা রায় বলেন, ‘দুই গালে,  গলায় এবং পায়ে গরম ছ্যাকার আঘাত নিয়ে লতা আক্তার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।’

মন্তব্য করুন


Link copied