আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালে সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, রাত ০৮:৫৯

Advertisement Advertisement

নোয়াখালী: নোয়াখালীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুর রহমান (৩৩) নামে এক সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত আব্দুর রহমান জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হীরাপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মাওলানা সাইদুল হকের ছেলে। তিনি সোনাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ আব্দুর রহমান ও হাবিবুর রহমান (২৫) নামে দুই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুর রহমান মারা যান। তাদের দুজনের শরীরেই গুরুতর জখম ছিল। হাসপাতালে ভর্তি থাকা হাবিবুর রহমানের অবস্থা এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।

নিহত আব্দুর রহমানের চাচা মো. হানিফ অভিযোগ করে বলেন, সোমবার ভোরে যৌথবাহিনী হাওলাদার বাড়িতে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে আমার ভাতিজা আব্দুর রহমান ও একই বাড়ির আরেক ভাতিজা হাবিবুর রহমানকে তাদের ঘর থেকে আটক করে পরিবারের সদস্যদের সামনেই মারধর করে। এরপর সকালে স্থানীয় পশ্চিম পাড়ার বাবুলের দোকানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। তখন তাদের কাছ থেকে কার্তুজ ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে জানানো হয়। এরপর সকাল নয়টার দিকে তাদের সোনাইমুড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়।

হানিফ আরও বলেন, পরে থানায় গিয়ে দেখি, আটক দুজনই গুরুতর অসুস্থ। তখন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বললে পুলিশ জানায়, আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানোর পর আদালতে আবেদন করলে সেখান থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

তার অভিযোগ, আহত অবস্থায় দুজনকে সারা দিন পর বিকেল ৫টায় আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাদের গ্রহণ না করে আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বললে পুলিশ তাদের বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তির কিছুক্ষণ পর আব্দুর রহমান মারা যান। আর হাবিবুর রহমান একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ কেউ করতে পারবে না।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, সকালে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। তাদের মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যখন তাদের পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়, তখন তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। এজন্য তাদের স্থানীয় বজরা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আব্দুর রহমানের নামে থানায় মারামারির তিনটি মামলা রয়েছে। আর হাবিবের নামে কোনো মামলা নেই। তাদের কাছ থেকে রাইফেলের লম্বা দুটি গুলি ও তিনটি রাম দা’ জব্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


Link copied