মমিনুল ইসলাম রিপন: কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবীতে সারাদেশের মত উত্তাল ছিল রংপুর। কমপ্লিট শাটডাউনে রংপুরে অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ নেমে পড়েছে। আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা গেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদেরও। দোকানপাট, অফিস, ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধসহ নগরীতে অটোরিক্সা, রিক্সা চলাচল সীমিত ছিল। এছাড়া প্রাইভেট কারসহ দুরপাল্লা ও আন্তঃজেলা রুটে কোন বাস চলাচল করেনি। এদিকে আন্দোলনকারীরা তাজহাট থানা ভাংচুর, পুলিশের গাড়ি ভাংচুরসহ আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রংপুর জিলা স্কুল মোড়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচীর ডাক দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর পার্কের মোড় এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভ করে। এদিকে রংপুর নগরীর চেকপোস্ট, কাচারী বাজার, পায়রা চত্ত্বর, জাহাজ কোম্পানী মোড়সহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আগুন জ¦ালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। এতে নগরীতে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরী হয়। এছাড়া সাংবাদিকদের দেখলেই আন্দোলনকারীরা তেড়ে আসছে।
বিকেল ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা তাজহাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে তারা তাজহাট থানাসহ পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল মেরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বিকেল ৫টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ওদিকে বিকেল ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা নগরীর বেতপট্টিস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে। সেই সাথে কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ও কিছু চেয়ার টেবিল অফিসের সামনে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয়। নগরীর জাহাজ কোম্পানী মোড়ে একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, তাজহাট থানা ও পুলিশের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওসিসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আমরা নগরীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।