আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ● ১২ পৌষ ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
রংপুর চিড়িয়াখানায় রাজা-রানী দেখতে দর্শনার্থীর ভিড়

রংপুর চিড়িয়াখানায় রাজা-রানী দেখতে দর্শনার্থীর ভিড়

মনোনয়নপত্র তুললেন  হেভিওয়েটরা প্রার্থীরা

মনোনয়নপত্র তুললেন হেভিওয়েটরা প্রার্থীরা

১৯ বছর পর বাবার কবরের পাশে তারেক রহমান

১৯ বছর পর বাবার কবরের পাশে তারেক রহমান

জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাচ্ছেন তারেক রহমান, দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ

জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাচ্ছেন তারেক রহমান, দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ

রংপুর বিভাগে ১১ মাসে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩১৫২

শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, রাত ০৮:৪২

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদক :  রংপুরে বিভাগের আট জেলায় গত সাড়ে ১১ মাসে প্রায় দশ হাজার অভিযান পরিচালনা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এসব অভিযানে ৩ হাজারের বেশি মাদকসংশ্লিষ্ট আসামিকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি সমপরিমাণ মামলাও হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে গত ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মাদক কারবারি ও মাদকের বিস্তার রোধে ধারাবাহিক ও সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে কাজ করছে সরকারি এ সংস্থাটি। গত সাড়ে ১১ মাসে প্রায় ১০ হাজার ৬০০ কেজি গাঁজা, সাড়ে চার হাজার বোতল ফেনসিডিল, ৫০০ গ্রাম হেরোইন এবং সাড়ে পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরণের অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও জব্দ করা হয়েছে।

অভিযানকালে মাদকদ্রব্যের পাশাপাশি মাদক বেচাকেনায় ব্যবহৃত যানবাহন ও  অর্থও জব্দ করা হয়েছে। মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত ৮ লাখ টাকা নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে ১৮টি মোটরসাইকেল, ৩টি মাইক্রোবাস, ৩টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ১০টি ইজিবাইক এবং ৬৪টি মোবাইল ফোন।

এসব যানবাহন ও যোগাযোগের সরঞ্জাম দীর্ঘদিন ধরে মাদক পরিবহন, লেনদেন ও মাদক কারবারিদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চল হিসেবে রংপুর বিভাগকে মাদক কারবারিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে ব্যবহারের ইঙ্গিত দেন তারা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগ কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মাসুদ হোসেন বলেন, বিভাগজুড়ে গত সাড়ে ১১ মাসে মোট ৯ হাজার ৯১০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে ৩ হাজার ২৭টি মামলা হয়েছে। এছাড়া এসব মামলায় ৩ হাজার ১৫২ জন মাদকসংশ্লিষ্ট আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংস্থাটির এ কর্মকর্তার দাবি, রংপুর বিভাগের আটটি জেলায় প্রতিদিন নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মাদক সেবনকারী, মাদক কারবারি, পরিবহনকারী ও সহযোগীদের কাউকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

মাসুদ হোসেন বলেন, মাদক শুধু একটি নেশাজাতীয় দ্রব্য নয়, এটি সমাজ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকি। বিশেষ করে তরুণ সমাজ মাদকের কারণে বিপথগামী হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে পরিবার ও সামাজিক বন্ধন। সে কারণেই মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমও চালানো হচ্ছে।

মন্তব্য করুন


Link copied