আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

রংপুরে আ.লীগের ছাড় দেওয়া আসনে জয় নিয়ে শঙ্কা জাতীয় পার্টির

শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, দুপুর ১১:০১

Advertisement Advertisement

ডেস্ক: রংপুর বিভাগের আট জেলায় সংসদের ৩৩টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে নয়টি ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ৩৩ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নিজেদের ঘাঁটি বলে দাবি করা রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টি কতটা সুবিধা করতে পারবে এ নিয়ে চলছে আলোচনা, জল্পনা-কল্পনা।

ভোটারদের মতে, আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোয় জাতীয় পার্টি খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। এর মধ্যে একাধিক আসন হারাতে পারে দলটি। স্থানীয়দের মতে, ঘাঁটিতেই নড়বড়ে জাতীয় পার্টি।

জানা গেছে, রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনে ভোটযুদ্ধে রয়েছেন ১৯০ প্রার্থী। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছেন সবকটি আসনে। রংপুর জেলার ছয় আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি-এনপিপি, সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএফ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বিএনএফ, ইসলামী ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র ৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তেমন একটা প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় রংপুর সদর আসনে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাতিজা সাবেক সংসদ-সদস্য আসিফ শাহরিয়ারকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হবে। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলুর অবস্থান ভালো। এখানে দুই স্বতন্ত্রের যে কোনো একজনের বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এ আসনটি জাপার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর পেছনে ভোটারদের ক্ষোভ বিগত সংসদ নির্বাচনে ১৫ বছর আগে এই আসনে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি নিজ নির্বাচনি এলাকায় জনসংযোগ রাখেননি। এমনকি দলের বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের দলের কমিটি ও সাধারণ কর্মীদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ নেই।

রংপুরের দুটি আসন ছাড়াও গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ওইসব আসনে জাতীয় পার্টির শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সঙ্গে। ৩৩ আসনের ২৪টিতে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের বিপক্ষে প্রার্থী দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ২৪ আসনের বেশ কয়েকটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেবারে নতুন। জনগণের সঙ্গে অনেকেরই যোগাযোগ নেই। তাই তারা তেমন একটা সুবিধা করতে পারবেন না বলে মনে করছে সাধারণ ভোটাররা। সব মিলিয়ে দেখা গেছে নিজ ঘাঁটিতেই নড়বড়ে অবস্থায় জাতীয় পার্টির অধিকাংশ প্রার্থী।

তবে জাতীয় পার্টির দাবি, তারা ৩৩ আসনেই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে রয়েছে। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির বলেন, রংপুর জাতীয় পার্টির ঘাঁটি। বিভাগের ৩৩ আসনেই জয়ের লক্ষ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন লাঙ্গলের প্রার্থীরা।

নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে, রংপুর বিভাগে ভোটার ১ কোটি ৩২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬২ জন। নারী ৬৬ লাখ ৫১ হাজার ৪১, পুরুষ ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৪। পুরুষের তুলনায় ২ হাজার ২১৭ নারী ভোটার বেশি। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯৭ জন। খবর-দৈনিক যুগান্তর

মন্তব্য করুন


Link copied