আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১০ অক্টোবর ২০২৫ ● ২৫ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১০ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরের পীরগাছায় একমাসে ১২টি ট্রান্সফরমার চুরি

রংপুরের পীরগাছায় একমাসে ১২টি ট্রান্সফরমার চুরি

৪৯তম বিসিএসের প্রশ্নে শহীদ আবু সাঈদ, আলোচিত ‘আয়নাঘর’

৪৯তম বিসিএসের প্রশ্নে শহীদ আবু সাঈদ, আলোচিত ‘আয়নাঘর’

রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদন

রংপুরে জাপাকে নিয়ে শঙ্কায় আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, দুপুর ১২:১৯

Advertisement

ডেস্ক: রংপুর জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন নতুন মুখ। তবে শঙ্কা কাটছে না শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টিকে কতটুকু ছাড় দেওয়া হবে তা নিয়ে। বিগত নির্বাচনের মতো এবারও রংপুর-১ ও ৩ আসন জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়া হলে দলীয় নেতা-কর্মীদের মনোবল ধরে রাখা কঠিন হবে। আওয়ামী লীগের অবস্থান অনেক দুর্বল হয়ে পড়বে, মনে করছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এসব এলাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে প্রচার চালিয়ে আসছেন।

এবার মনোনয়ন পেয়েছেন রংপুর-১ আসনে এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, রংপুর-২ আসনে মোহাম্মদ আবুল কালাম আহসানুল হক ডিউক চৌধুরী, রংপুর-৩ আসনে তুষার কান্তি মন্ডল, রংপুর-৪ আসনে টিপু মুনশি, রংপুর-৫ আসনে রাশেক রহমান এবং রংপুর-৬ আসনে শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বর্তমানে রংপুরে ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে চারটি এবং জাতীয় পার্টির দুটি। এর মধ্যে রংপুর সদর আসনের এমপি প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ। রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির  সাবেক মহাসচিব (দল থেকে বহিষ্কৃত) মসিউর রহমান রাঙ্গা। এবার রংপুর-৩ জাপা চেয়ারম্যান    জি এম কাদের পক্ষে মনোনয়ন ফরম তোলা  হয়েছে। অপরদিকে মসিউর রহমান রাঙ্গা জাপার টিকিট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। 

স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রংপুর-১ ও ৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পেলেও তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন কি না নেতা-কর্মীরা এখনো নিশ্চিত নন। নাকি অতীতের মতো প্রার্থী প্রত্যাহার করে জাতীয় পার্টিকে সুবিধা করে দেওয়া হবে। এ নিয়ে দলের মধ্যে নানা গুঞ্জন রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জনের মুখে শোনা যাচ্ছে এ দুটি আসন ছাড়াও তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ আসনটিও জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পরে রংপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে তেমন একটা উল্লাস দেখা যায়নি। দুই-একটি স্থানে আনন্দ মিছিল হলেও তার পরিধি ছিল খুবই ছোট।

একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তবে কেন্দ্র থেকে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত এলে তা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।

গঙ্গাচড়া আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু বলেন, সব ভেদাভেদ ভুলে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে একযোগে কাজ করতে হবে। রংপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল। তিনি বলেন, রংপুরের উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা মার্কার কোনো বিকল্প নেই।

মন্তব্য করুন


Link copied