মমিনুল ইসলাম রিপন , রংপুর:।। শারদীয় দুর্গাপূজা আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে এবং চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত। এই পাঁচ দিনের উৎসবে মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী এবং বিজয়া দশমী পালিত হবে। এর পাশাপাশি মহালয়া থেকে দেবীপক্ষের সূচনা এবং দেবীর আগমন ঘিরে আরও অনেক অনুষ্ঠান ও আচার পালিত হবে। এ নিয়ে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনে যাবতীয় নিরাপত্তার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন ও মন্ডপ কমিটি। এবার রংপুরে ৯১২টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা উৎসব পালিত হবে।
জেলা পুলিশ ও রংপুর মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এবারে রংপুর জেলা ও মহানগর মিলে ৯১২টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা উৎসব পালিত হবে। এর মধ্যে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৫৪টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। নগরীর বাহিরে জেলার ৮ উপজেলায় ৭৪১ টি মন্ডপে পূজা হবে। জেলার ৮ উপজেলার কোতয়ালী থানায় ৯১ টি, গঙ্গাচড়ায় ৯৬ টি, তারাগঞ্জে ৬১ টি, বদরগঞ্জে ১০৬ টি, মিঠাপুকুরে ১৩৯ টি, পীরগঞ্জে ৮৯ টি, পীরগাছায় ৮৭টি ও কাউনিয়ায় ৭২ টি এছাড়াও বদরগঞ্জ পৌরসভায় ১০ টি, পীরগঞ্জ পৌরসভায় ৭ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা হবে।
শারদীয় দুর্গা পূজা ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে এবং চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত। এই পাঁচ দিনের উৎসবে মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী এবং বিজয়া দশমী পালিত হবে। এর পাশাপাশি মহালয়া থেকে দেবীপক্ষের সূচনা এবং দেবীর আগমন ঘিরে আরও অনেক অনুষ্ঠান ও আচার পালিত হবে।
শারদীয় দূর্গাপূজা উৎসব কমিটি রংপুর জেলা ও মহানগরের আহবায়ক ডা: নিখিলেন্দ্র শংকর গুহ রায় বলেন, এবার রংপুর জেলার ৯১২ টি মণ্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উত্তর জনপদের সম্প্রীতির রংপুরে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব পালনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব ধর্মালম্বীদের কাছে আমরা সহায়তা চাই। এখন পর্যন্ত পূজার প্রস্তুতিসহ সবঠিক রয়েছে। নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সহেযাগিতার হাত বাড়িয়েছেন। শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হবে এই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে তিনি রংপুরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মো: আবু সাইম বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পূজা শুরুর আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। মন্ডপ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নিরাপত্তার নানা বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি উৎসব মুখর পরিবেশে উৎসব পালিত হবে।