আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত: আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সবচেয়ে পিছিয়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২, দুপুর ০৪:৩৯

Advertisement Advertisement

বেরোবি প্রতিনিধি: দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। আর এই মানদণ্ডে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রকাশিত ৪৭তম বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সব মিলিয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা রয়েছে ১৫৭টি। এ মধ্যে সরকারি ৫০টি আর বেসরকারি ১০৭টি। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৪৬টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত প্রকাশ করা হয়েছে। এরমধ্যে জাতীয়, উন্মুক ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতের আন্তর্জাতিক মান নেই ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

অন্যদিকে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৭টি হলেও বর্তমানে ৯৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে পারেনি ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৯৯ জন। বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষক রয়েছেন ১৮৬ জন। বিশ্ববিদ্যালটিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৫৪।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন বিভাগে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র চার থেকে পাঁচজন। এর মধ্যে আবার শিক্ষাছুটিতে রয়েছেন অনেকেই। এতে করে বিভাগগুলোতে যেমন সেশনজট বাড়ছে তেমনি শিক্ষার মানও কমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়কে বিভিন্ন বিভাগের চাহিদা এবং স্ট্রাকচার অনুযায়ী পদ সৃষ্টি করা উচিত এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে পদ অনুমোদনের ব্যাপারে খেয়াল রাখা দরকার। তাহলে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাতের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে শিক্ষার মানও বৃদ্ধি পাবে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবু কালাম মো: ফরিদ উল ইসলাম বলেন, শিক্ষার মান বাড়াতে হলে শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের নূন্যতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে।

মন্তব্য করুন


Link copied