মমিনুলইসলাম রিপন রংপুর ।। দেশের সর্ব্বচ্য আদালত বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের দেয়া রায় মানছেনা রংপুর সিটি করপোরেশন কতৃপক্ষ। এক বছরেরও বেশী সময় ধরে ঘুরছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের বাজার শাখার প্রধান অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মোঃ ফরিদ উদ্দিন আহাম্মেদ। লিখিত আবেদন করে পেনশন গ্রাচুয়িটি সহ অন্যান্য বকেয়া টাকা প্রদানের জন্য উচ্চ আদালতের আদেশ নামা কপি সহ আবেদন পত্র দিলেও কর্মকর্তারা আদালতের আদেশ মানছেননা। পাওনা টাকা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে মানবেতর ভাবে দিন কাটছে কর্মচারী ফরিদ উদ্দিনের।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে ফরিদ উদ্দিন আহাম্মেদ দীর্ঘদিন ধরে রংপুর সিটি করপোরেশনে বাজার শাখার শাখা প্রধান পদে চাকুরী করে ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করেন। এরপর অবসর গ্রহনের পর তার প্রাপ্য অবসর গ্রহনের পেনশন , গ্রাচুয়িটি সহ প্রায় ২৪ লাখ টাকা পরিশোধ করার জন্য লিখিত আবেদন করার পর দীর্ঘদিন ধরে পাওনা অর্থ প্রদান করেনি সিটি করপোরেশন কর্তপক্ষ। দীর্ঘদিন সিটি করপোরেশনের দুয়ারে দুয়ারে ধর্না দিয়েও পাওনা টাকা না পাওয়ায় মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করেন। যার রিট পিটিশন নম্বর ১৩২০৪/২১ইং। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের মাননীয় বিচারপতি জেড রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি জনাব কাজী এবাদত হোসেন ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর তারিখে সিটি করপোরেশনের কর্মচারী ফরিদ উদ্দিনকে রায় ঘোষনার দুই মাসের মধ্যে তার সমুদয় পাওনা পরিশোধ করার নির্দ্দেশ প্রদান করে রায় দেন। হাইকোর্ট বিভাগের দুই মাননীয় বিচারপতি মহোদয়ের রায়ের পর সিটি করপোরেশনের কর্মচারী ফরিদ উদ্দিনের পাওনা পরিশোধ না রংপুর সিটি করপোরেশনে তৎকালিন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে আপীল আবেদন দায়ের করেন। মাননীয় সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি এনায়েতুর রহীম গত বছর ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারী শুনানী শেষে সিটি করপোরেশনের আপীল আবেদন কোন আদেশ প্রদান করা হলোনা মর্মে আদেশ দিয়ে আপীল আবেদন খারিজ করে দেন। যার পিটিশন নম্বর ১১৬৬/২৩ইং। সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের আদেশ প্রদানের পর আদেশ নামার কপি নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে আবারো আবেদন করেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ফরিদ উদ্দিন। কিন্তু সুপ্রীম কোর্টের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখন পর্যন্ত তার পাওনা প্রদান করা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে রংপুর সিটি করপোরেশনের সচিব জয়শ্রী রানী রায়ের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি উচ্চ আদালতের আদেশ সহ আবেদন পেয়েছেন বলে স্বীকার করে বলেন এ ব্যাপারে ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।