ডেস্ক: ঈদুল ফিতরের সময় অতিরিক্ত যাত্রীদের জন্য ৫০টি কোচ মেরামতের কাজ চলছে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। এসব কোচ দিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলের দুটি বিশেষ ট্রেন চালু ও বাকিগুলো নিয়মিত ট্রেনে জুড়ে দিয়ে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা সূত্র জানায়, ঈদে কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় সভাপতিত্ব করেন রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান। সভায় কারখানার ওয়ার্কস ম্যানেজার শেখ হাসানুজ্জামানসহ ২৯টি উপ-কারখানার ইনচার্জরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কারখানার লোকবল পরিস্থিতিসহ অন্যান্য বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পায়।
সূত্রটি জানায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় বাজেট স্বল্পতা রয়েছে। এর ওপর রয়েছে লোকবল সংকট। তবে ঈদের জন্য অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি মাথায় রেখে অতিরিক্ত ৫০টি কোচ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য শ্রমিকদের অতিরিক্ত কাজের মজুরি (ওভারটাইম) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
প্রকৌশলীরা জানান, বর্তমানে রেলওয়ে কারখানার যান্ত্রিক শাখায় ২ হাজার ৮৫৯ জন জনবলের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৬৩২ জন। একই বৈদ্যুতিক শাখায় ৩৩৭ জনবলের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১৪৮ জন কর্মচারী। মাত্র ২৫ ভাগ জনবল নিয়ে চলছে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। এ পরিস্থিতিতে লোকবল নিয়োগ না হলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। তবে ঈদকে সামনে রেখে কোচ মেরামত কাজে কারখানায় প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গিয়েছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মচারী দেলওয়ার হোসেন জানান, আমরা নিয়মিত কাজের বাইরে প্রতিবছর ঈদে অতিরিক্ত রেলকোচ মেরামতের কাজ করে থাকি। গত দুই বছর করোনাকালে কারখানায় স্বাভাবিক উৎপাদন বজায় ছিল। সে ধারাবাহিকতায় আগামীতে আরো ৫০টি কোচ মেরামত করা হচ্ছে ঈদকে সামনে রেখে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ১২ হাজার রকমের যন্ত্রাংশ রেলকোচ ও ওয়াগন মেরামত করা হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান জানান, আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে উদ্দীপনা। সেই উদ্দীপনাকে পূঁজি করে রেলসেবা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ রয়েছে আমাদের। আসছে ঈদে অতিরিক্ত ৫০টি যাত্রীবাহী কোচ মেরামত শেষে ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হবে। এই কাজ শুরু হয়েছে।