স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটি রেলওয়ে কোয়ার্টার থেকে আলেমা বেগম (৪০) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট) দুপুরে শহরের মুন্সিপাড়ার রেলওয়ে কোয়ার্টার থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, শহরের মুন্সিপাড়ার ইটভাটার মালিক আনিছুরের বাড়ি সংলগ্ন একটি রেল কোয়ার্টারে থাকেন জাহিদুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তি। জাহিদুল ইসলাম সৈয়পদুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের পূর্ব চাপড়া গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে। গত দুই দিন আগে তিনি ঢাকার বিক্রমপুর থেকে আলেমা বেগমকে সৈয়দপুরে নিয়ে আসেন। সকালে পাশের বাসার সেলিনা বেগমকে জাহিদুল ইসলাম ফোন করে জানান আলেমা মারা গেছেন, পুলিশ যেন মরদেহ নিয়ে যায়। এসময় সেলিনা দ্রুত পার্শ্ববর্তী লোকজনকে জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
সেলিনা বেগম বলেন, সকাল ১০টার দিকে জাহিদুল ভাই আমাকে ফোন করে বলেন আলেমা মারা গেছে। তোমরা পুলিশকে খবর দেও যেনো তারা এসে তার মরদেহ নিয়ে যায়। আমি অনেক দূরে চলে যাচ্ছি বলে তিনি ফোন রেখে দেন। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাই।
এ ঘটনায় নিয়ে এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী বিষয়টি সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করছেন। তারা ধারণা করছে জাহিদুলে আলেমাকে হত্যা করে পালিয়ে গিয়েছে। আলেমা বেগমের সাথে জাহিদুলের সম্পর্ক কি সেটি কেউ জানে না। তবে কেউ কেউ বলছেন জাহিদুল তাকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছেন।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহৃ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত এবং জাহিদুল ইসলামকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।