আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ● ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ঢাকায় আসছেন জোবাইদা রহমান

ঢাকায় আসছেন জোবাইদা রহমান

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে ১ জন নিহত

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে ১ জন নিহত

দিনাজপুরে বাসচাপায় অটোভ্যানের দুই নারী যাত্রী নিহত: আহত-৬

দিনাজপুরে বাসচাপায় অটোভ্যানের দুই নারী যাত্রী নিহত: আহত-৬

কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে

কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে

২৪ ডিসেম্বর ব্রাকসু নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও অবস্থান কর্মসূচি 

বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, দুপুর ০৪:২১

Advertisement

মমিনুল ইসলাম রিপন: রংপুরের  বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনারের  কার্যক্রম পরিচালনা ও ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও অবস্থান কর্মসূচি  পালন করেছেন শিক্ষার্থীবৃন্দ।

বুধবার( ৩ ডিসেম্বর ২০২৫)  সকাল ১১ টা  থেকে প্রশাসনিক গেটের দক্ষিণ দিকে অবস্থান করে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। 

এসময়  শিক্ষার্থীরা বলেছেন, প্রশাসনের দীর্ঘসূত্রিতা ও নির্বাচনের নামে কালক্ষেপণের প্রতিবাদে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ১৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়, ২৯ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারন করা হয় এবং পরবর্তীতে ২৯ ডিসেম্বর নির্ধারিত ভোটগ্রহণের তারিখ পুনর্বিবেচনা শেষে ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় একের পর এক নাটকীয়তা। এর সূচনা ঘটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আকস্মিক পদত্যাগের মাধ্যমে। আচরণবিধি প্রকাশ, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং মনোনয়ন ফরম বিতরণের মাধ্যমে উৎসবমুখর এবং নির্বাচনী আমেজ তৈরী হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা মনোনয়ন ফরম, উত্তোলন করলেও, মনোনয়ন ফরম তোলার শেষদিন দুপুরে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ব্রাকসু বানচালকারী একটি গোষ্ঠী নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ প্রয়োগ করে এবং নানা হুমকি দিতে থাকে। এমনকি কমিশনের সদস্যদের পদত্যাগের ইঙ্গিত দেন। এই পরিস্থিতিতে কমিশন অযৌক্তিকভাবে ভোটার তালিকায় "অসঙ্গতি" দেখিয়ে নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে। এখানে প্রশাসনের স্বদিচ্ছার যথেষ্ট পরিমাণ ঘাটতি স্পষ্ট এবং কয়েকটি বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে:

১। প্রশাসনের স্বদিচ্ছার অভাব, গড়িমসি, সময়ক্ষেপণ

২। শিক্ষার্থীদের আবেগ, অনুভুতির সাথে টালবাহানা এবং শুধুমাত্র আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ তৈরী হলে শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনে নামে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাতে এবং বাধা দিতে ব্রাকসু-বিরোধী সেই গোষ্ঠী প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে তবুও শিক্ষার্থীরা দমে যায়নি। শিক্ষার্থীরা তফসিল সচল রাখার দাবীতে আবারও আন্দোলনে নামে এবং পুনরায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের দাবি তোলে।

উপাচার্যসহ প্রশাসনের উদাসীনতা, দায়িত্বহীনতা ও ধারাবাহিক টালবাহানা এখন স্পষ্ট। শিক্ষার্থীরা মনে করে তাদের অব্যবস্থাপনার কারণে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

এতদসত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা এখনো নমনীয় আচরণ করেছে কিন্তু আজ থেকে তফসিল সচল এবং ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে শিক্ষার্থীরা আর শান্ত থাকবে না। কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয় সেটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জুলাই বিপ্লবে ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে।

 আজকের মধ্যেই তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল করতে হবে

মন্তব্য করুন


Link copied