আর্কাইভ  শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫ ● ৮ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

♦ যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রেও
♦ নির্বাচনে আগ্রহীরা ঘুরছেন এলাকায়
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনা
মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

নারী কাণ্ডে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

নারী কাণ্ডে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

চীন যাচ্ছেন নাহিদসহ এনসিপির ৮ নেতা

চীন যাচ্ছেন নাহিদসহ এনসিপির ৮ নেতা

৩৩ শতাংশ পদে হেরে গেছেন আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২, সকাল ০৬:১৪

Advertisement Advertisement

ডেস্ক: অনেকটা একতরফা নির্বাচনেও ৩৩ শতাংশ পদে হেরে গেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। জেলা পরিষদের এই ভোটে দলীয় প্রতীক না থাকলেও ক্ষমতাসীনরা সবক'টি জেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিয়েছিল। গতকাল সোমবার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৪ জেলার মধ্যে অন্তত ১০ জেলার চেয়ারম্যান পদে তাঁদের ভরাডুবি ঘটেছে। এর মধ্যে ৯টিতেই জয় নিশ্চিত করেছেন নিজ দলের বিদ্রোহীরা। এই জেলাগুলো হচ্ছে- ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, নরসিংদী, শেরপুর, দিনাজপুর, রংপুর, পঞ্চগড়, সুনামগঞ্জ ও কক্সবাজার। দিনাজপুরে অবশ্য জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে হেরেছে আওয়ামী লীগ। এর বাইরে বেশ কয়েকটিতে অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। পার্বত্য তিন জেলা বাদে ৬১ জেলার তপশিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালীর ভোট স্থগিত হয়ে যায়। ভোলা ও ফেনী জেলার চেয়ারম্যান ও অন্যান্য পদের সবাই বিনা ভোটে জয় নিশ্চিত করেন। গতকাল সারাদেশের ৫৭টি জেলায় ভোট নেওয়া হয়। এর মধ্যে ভোলা, ফেনীসহ ২৫টিতে শুধু চেয়ারম্যান পদে ভোটের আগে জয়ী হন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। ফলে গতকাল চেয়ারম্যান পদে ভোট হয় ৩৪ জেলায়।

১০ জেলায় পরাজিত আওয়ামী লীগ :আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন দিনাজপুরের আজিজুল ইমাম চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৭৮ ভোট। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ১ হাজার ১৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

 

 

শেরপুরেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী চন্দন কুমার পাল বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী মো. হুমায়ুন কবীর পেয়েছেন ৫৪৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চন্দন কুমার পাল পেয়েছেন মাত্র ১৮৭ ভোট। ফরিদপুরে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাদাৎ হোসেন ৬২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫৪০ ভোট। কক্সবাজারে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহীনুল হক মার্শাল ৫৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের মোস্তাক আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট। সুনামগঞ্জে বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুট পেয়েছেন ৬১২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের খায়রুল কবির রুমেন পেয়েছেন ৬০৪ ভোট। নরসিংদীতে বিদ্রোহী প্রার্থী মনির হোসেন ভূঁইয়া পেয়েছেন ৬২২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবদুল মতিন ভূঁইয়া পেয়েছেন ৩৫০ ভোট। পটুয়াখালীতে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৫৮২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের খলিলুর রহমান মোহন পেয়েছেন ৪৮৬ ভোট। রংপুরেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইলিয়াস আহমেদ বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী মোছাদ্দেক হোসেন ৬০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ইলিয়াস আহমেদ পেয়েছেন ৪৮৪ ভোট। পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু তৈয়বুর রহমান ২৩১ ভোট পেয়ে হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হান্নান শেখের কাছে। হান্নান শেখ ২৮৩ ভোট পেয়েছেন। ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস ১৫ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। ৪৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সৃজনী বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদ।

মন্তব্য করুন


Link copied