আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

‘উদ্ধারকাজে যোগ দিলেও বুঝিনি আমার ভাতিজিও সেখানে ছিল’

বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, রাত ১০:৩০

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: 'মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যখন দুর্ঘটনা ঘটে, তখন আমি কাছাকাছিই ছিলাম। তৎক্ষণাৎ আমিও ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজে যোগ দেই। তখনো বুঝতে পারিনি আমার ভাইয়ের মেয়েও সেখানেই আছে।'

কথাগুলো বলছিলেন উত্তরার ওই দুর্ঘটনায় নিহত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার আনিশার (৯) চাচা সৈয়দ নোমান হোসেন।

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া গ্রামে যখন ফাতেমার মরদেহ পৌঁছায়, তখন গোটা এলাকাজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। বাড়ির আঙ্গিনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্বজন-প্রতিবেশীরা। সবাই সেখানে জড়ো হয় ফাতেমাকে শেষবারের মতো এক নজর দেখার জন্য।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মা ও ছোট দুই ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকত ফাতেমা। তার বাবা বনি আমিন কুয়েতপ্রবাসী, মা রূপা একজন গৃহিণী। দুর্ঘটনার খবর শুনেই তার বাবা কুয়েত থেকে দেশে ফিরেছেন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুনিয়া কওমি মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে ফাতেমা মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ফাতেমার বাবা আমিনের মামাত ভাই নোমান আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আমরা ফাতেমার মরদেহ শনাক্ত করি এবং বাড়িতে নিয়ে আসি।

ফাতেমার ফুফু ইয়াসমিন আক্তার বলেন, দুর্ঘটনার পরে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিএমএইচে আমরা ওর মরদেহ পাই। রাত ৩টার দিকে মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির পথে রওনা হই।

সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ।

মন্তব্য করুন


Link copied