আর্কাইভ  রবিবার ● ৫ অক্টোবর ২০২৫ ● ২০ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ৫ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি শুরু

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি শুরু

দিনাজপুরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

দিনাজপুরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

লালমনিরহাটে ছেলের ছুরিকাঘাতে মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

লালমনিরহাটে ছেলের ছুরিকাঘাতে মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হঠাৎ ঝড়ে ৮০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হঠাৎ ঝড়ে ৮০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

”শেখ হাসিনার প্রতি দৃঢ় সমর্থন থাকবে ভারতের”

শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩, রাত ১০:২১

Advertisement

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের প্রভাবশালী সাময়িকী আউটলুক ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ওপর বিরোধী দল, যুক্তরাষ্ট্র ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের চাপ থাকলেও পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের কোনো আগ্রহ নেই সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারত প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কিছু বলেনি এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি (শেখ হাসিনা) যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটির প্রতি সমর্থন থাকবে নয়া দিল্লির। 

সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের ওপর প্রচণ্ড চাপ থাকলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধীদের দাবি মানবে না। তিনি আত্মবিশ্বাসী যে ১৫ বছরের শাসনামলের ইতিবাচক রেকর্ড তাকে আবার ক্ষমতায় নিয়ে আসবে।

এদিকে ২০১৪ সালে বিএনপির নির্বাচন বয়কট করা ছিল কৌশলগত ভুল। বিএনপি ও তাদের জোট মিত্র জামায়াতে ইসলামী ওই সময় রাজপথে নজিরবিহীন সহিংসতার জন্ম দিয়েছিল। এবারও বিএনপির নির্বাচন বয়কটের কৌশল সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের অংশ হতে পারে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জানুয়ারিতে যখন আরেকটি বিক্ষোভপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। রাজপথে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর লড়াই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে শত্রু-মিত্রের লড়াইয়ে জটিল অবস্থায় ভারত : শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ঢাকা আবারও অস্থিতিশীল। এর পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লিকে কিছু বিষয় আমলে নিতে হবে। প্রথমত, জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও বিদেশি শক্তির লড়াইয়ের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ঢাকার ওপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে বাংলাদেশে উপস্থিতি বৃদ্ধি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। এর ফলে শত্রু এবং মিত্রের মধ্যবর্তী এক জটিল অবস্থায় পড়েছে ভারত। 

দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন বাংলাদেশ। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নেমে গেছে ২০ বিলিয়ন ডলারে। এ দিয়ে তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো কঠিন। এর সঙ্গে জীবনধারণের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে শতকরা ৯.৬ ভাগে। সম্পাদকীয়তে উল্লিখিত পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, এ পরিস্থিতি জনঅসন্তোষে রশদ জুগিয়েছে, যেমনটা দেখা গেছে গার্মেন্ট শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান প্রতিবাদ বিক্ষোভে। একই সঙ্গে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিরোধী বিএনপি ও তার মিত্ররা। এসবই বলে দিচ্ছে, আরও একবার বাংলাদেশের রাজনীতি অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। 

মন্তব্য করুন


Link copied