নিউজ ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব-বুবলীর রোমান্টিক ছবি ঘিরে শোবিজ অঙ্গনে এখন আলোচনার শেষ নেই। তাদের দুই জনের ছবি ভাইরাল হতেই অপু বিশ্বাসের জবাবের অপেক্ষায় ছিলেন নেটিজেনরা। এরপর গতকালই শাকিব-বুবলীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন অপু। জবাবের এক পর্যায়ে নিজের দেওয়া ১৫ জুনের ফেসবুক পোস্ট পড়ে নেওয়ার কথা বলেন অপু। এরপর থেকেই অনেকের মনে প্রশ্ন ১৫ জুন ফেসবুকে কী লিখেছিলেন অপু বিশ্বাস?
১৫ জুন সেই স্ট্যাটাসে অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘প্রিয় ভক্ত-অনুরাগী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করছি, আমার ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্ত বা আমার ছেলের সাথে স্মরণীয় সময়গুলো যখন আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করি- তখনই কোনো না কোনোভাবে সেই বিষয়কে ঘিরে একধরনের অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।’
অপু আরও লেখেন, ‘আমি একজন মা, একজন অভিনেত্রী, একজন উদ্যোক্তা। আমার অনেক দায়িত্ব, অনেক ব্যস্ততা। ক্যামেরার বাইরে আমার জীবনটা একজন নারীর মতোই- হাজারো কাজ, পরিকল্পনা, এবং স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলা। আমি কাউকে কিছু প্রমাণ করতে চাই না। আমার সম্পর্ক, আমার জীবনের অধ্যায়গুলো দর্শকের চোখের সামনেই কেটেছে। সেখানে লুকোচুরি নেই, নাটক করার কিছু নেই। আমার ছেলের জন্য সময় দেই, তার বাবার সঙ্গে সুন্দর মুহূর্তগুলো ধরে রাখি-এটা সম্পূর্ণই ওর মানসিক বিকাশ ও সুন্দর শৈশবের জন্য। এটিকে ঘিরে কারো ‘অস্বস্তি’ তৈরি হলে, সেটার দায় আমার নয়।’
শাকিব খান ও ছেলেকে নিয়ে তার পোস্টের পর বুবলী পাল্টা পোস্ট করেন বলেও দাবি করেন অপু। সেই সঙ্গে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতার কথাও উঠে আসে তার পোস্টে।
অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘আমি অনেকদিন ধরেই দেখছি, আমার কোনো সাধারণ পারিবারিক পোস্টের পরেই যেন কিছু ‘কাউন্টার প্রচেষ্টা’ শুরু হয়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই-আমি সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেই। সম্মান নিজে অর্জন করতে হয়, অন্যকে ছোট করে নয়। এখন থেকে আমি শুধু নিজের কাজ, নিজের ছেলে, নিজের ভক্তদের সময় দিতে চাই।’
সবশেষে অপু লেখেন, ‘কারো সঙ্গে পাল্লা দেয়ার জন্য আমি এখানে আসিনি। আমি নিজের জায়গাতেই স্বাচ্ছন্দ্যে আছি। যারা আমাকে ভালোবাসেন, পাশে থাকেন-আপনাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমি আপনাদের বিশ্বাস ভাঙতে চাই না। আর নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে কারো সঙ্গে পা মেলাতে রাজিও নই। ভালোবাসা অমলিন থাকুক।’