কিন্তু ঘোষণার পরেও রংপুর মহানগরীতে চলছে না গণ-পরিবহন। সিটি কর্পোরেশনে চলাচলের এরিয়া কম হওয়ায় এবং নগরীর ভিতরে বাস সার্ভিস চালু না থাকায় চালকরা চালাচ্ছেন না গণ-পরিবহন।
বুধবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, চার তলা মোড় বাস স্ট্যান্ড, সাত মাথা বাস স্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায় গণ-পরিবহনের চালক, সহযোগী এবং সুপারভাইজাররা আসলেও তারা গাড়িতে হাত দেন নি।যাত্রীরাও আসেননি টার্মিনালে। ফলে সারি সারি ভাবে টার্মিনালেই সাজানো আছে গাড়ি।
সেঞ্চুরি পরিবহনের ড্রাইভার আলমগীর হোসেন জানান, রংপুর সিটি এলাকায় দম দমা থেকে হাজিরহাট পর্যন্ত গণ-পরিবহন চালানোর সুযোগ আছে। যার দৈর্ঘ্য মাত্র ১০ কিলোমিটার। এতো স্বল্প দৈর্ঘ্য এলাকায় গাড়ি চালালে তেলের টাকাই উঠবে না।
আশিক পরিবহনের সুপার ভাইজার নুর আলম জানান, আজকে যাত্রীর জন্য কাউন্টারে বাস বসা।আর রংপুর সিটিতে যে যাত্রী আছে তা রিকশা আর অটো ওয়ালারাই বহন করছে। লকডাউনের সময়ে তাদেরই যাত্রী কম। তারা অনেকেই বসে আছে।
রংপুর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এমএ মজিদ মুঠো ফোনে জানান, চট্টগ্রাম এবং ঢাকা মহানগরী ছাড়া কোনো সিটি এলাকাতেই গণ-পরিবহন চালানো সম্ভব নয়। রংপুর সিটিতে গণ-পরিবহন চলার মতো কোনো সুযোগ নেই। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্ত:জেলা গণ-পরিবহন চালুর দাবি জানাচ্ছি।
রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল ইসলাম মৃধা জানান, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লকডাউনেও সিটি এলাকায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চালু থাকবে বাস সেবা। যাত্রী ওঠার আগে প্রতিবার ট্রিপ শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে আর মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়।আর সে অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে রংপুর সিটি এলাকায় গণ-পরিবহন চললে আমরা সহযোগিতা করবো।