আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২২ অক্টোবর ২০২৪ ● ৭ কার্তিক ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২২ অক্টোবর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: উত্তরবঙ্গে ঘনিয়ে আসছে শীত; তাপমাত্রা ১৭.৮       আড়াই শতাধিক এসআইকে অব্যাহতি       প্রবাসী সরকার: কী বলছে আ.লীগ ও ভারত       রংপুরে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল        ব্যারিস্টার সুমন আটক      

 width=
 

অপহরণ-মুক্তিপণ বাণিজ্য- টার্গেট মাদ্রাসার ছাত্র ॥ নীলফামারীতে গ্রেপ্তার ১

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, রাত ০৯:৩১

স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ মাদ্রাসার কম বয়সের ছাত্রদের অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্যের ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ছে উত্তরাঞ্চলে। খন্ড খন্ড চক্রটি কখনও কখনও দাবি মতো মুক্তিপণ অর্থ না পেলে ওই সকল ছাত্রদের হত্যাও করছে। এই চক্রের এক সদস্যকে নীলফামারী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। 
সোমবার(২৪ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নীলফামারী পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 
গ্রেপ্তারকৃত আরিফুল ইসলামআরিফ(৩৩) বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম এলাকার মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। আরিফকে তার শশুরবাড়ী নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পূর্ব শিমুলবাড়ী মিরগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ। 
পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আরিফ ও তার চক্রটি মুলত বগুড়া, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকার মাদ্রাসা ছাত্রদের টার্গেট করতো যাদের নিজস্ব কোনো মোবাইল ফোন নেই। তাদেরকে অপহরন করে বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করে  বিভিন্নভাবে বিকাশ ও নগদে মুক্তিপন আদায় করতো। মুক্তিপন আদায় করে অপহরণকৃত মাদ্রাসা ছাত্রদের ছেড়ে দিয়ে মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দিত। 
নীলফামারীর এক মাদ্রাসা ছাত্র ‘সিরাজ-উদ-দৌলা শুভ বসুনিয়া শুভ (১৪) রংপুর রেলষ্টেশন মাদ্রাসায় পড়ে। সেখানে আবাসিক ছাত্র সে। আরিফ ও তার চক্র এই শুভকে অপহরন করে। তারপর অভিভাবকদর কাছে মুক্তিপণ্য দাবি করে। ছাত্রটির বাবা গরীব হওয়ায় সে ধারদেনা করে অপহরনকার দের  মুক্তিপন বাবদ ১২ হাজার ৮০০ টাকা প্রদান করে। এরপর অপহরকারীরা ওই ছাত্রকে ছেড়ে দেয়।  বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রের বাবা নীলফামারী থানায় মামলা দায়ের করেন। চলতি বছরের মার্চ মাসের এই  ঘটনা নিয়ে নীলফামারী পুলিশ মাঠে নামে। রংপুর রেল স্টেশন এলাকাতেও এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়। সেখানে বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে অপহরণকারীর ছবি পুলিশের হাতে আসে। সেই ছবির সুত্র ধরে রবিবার(২৩ জুন) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরিফকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ও দুটি সিম উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে রংপুরের অপহরনের ঘটনা ও শুভ বসুনিয়াকে অপহরন করার ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল বলে স্বীকার করেছে। অপহরনকারীদের সাথে জড়িত অন্যান্যদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান, পুলিশ সুপার। 
পুলিশের সুত্র মতে, উত্তরাঞ্চলে এই চক্রটি সুযোগ বুঝে সক্রিয় হয়ে উঠে। এর আগে চক্র চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাদ্রাসা ছাত্র মারুফ হাসানকে (১২) অপহরন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। টাকা পেয়ে তারা শিশুটিকে হত্যা করে। শিশুটির পরিবারের মামলায় সিরাজগঞ্জ পুলিশ ও র‌্যাব অভিযান চালিয়ে চক্রের ৫ জনক গ্রেপ্তার ও শিশুটির লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই চক্রটির অনেক ঘটনা ধীর ধীরে ফাঁস হচ্ছে। চক্রের সকল সদস্যদের ধরতে পুলিশ মাঠে নেমেছে। নীলফামারীর গ্রেপ্তারকৃত আরিফকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার। 
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (প্রশাসন ও অর্থ) আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) কল্লোল কুমার দত্ত, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

মন্তব্য করুন


 

Link copied