ডেস্ক: হিমালয়ের কোল ঘেঁষে দেশের সর্বউত্তরে জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার জিরো পয়েন্টেই বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ-নেপালের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম দিয়ে যাত্রা শুরু করা এ বন্দর এখন বিস্তৃতি বাড়িয়েছে ভারত ও ভুটানের সঙ্গে।
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এশিয়ান হাইওয়ের সংযোগ। ফলে অর্থনীতির নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হচ্ছে উত্তরের প্রান্তসীমা পঞ্চগড়ে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের হিসাব বলছে, গত বছরের জুলাইয়ে পণ্য আমদানির পরিমাণ ছিলো ৫৫ হাজার ৯৫২ মেট্রিকটন। চলতি বছরের জুনে সেই পরিমাণ এক লাখ ৫৪ হাজার ১৭৯ মেট্রিক টন। গত এক বছরে এ বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছে ৯২৭ কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকার পণ্য।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ম্যানেজার ও বন্দর ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, মূলত এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর, ভুট্টা, রেলওয়ে স্লিপার, আদা, চাল, ফলসহ নানা ধরণের পণ্য এবং নেপাল ও ভুটান থেকে সুতা ও আলু ছাড়া সব ধরণের পণ্য আমদানি হয়। আর বাংলাদেশ থেকে পাট, গ্লাস শিট, ওষুধ, ব্যাগ ও খাদ্য সামগ্রী রপ্তানি হয় ভারত, নেপাল ও ভুটানে।
বাংলাবান্ধা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে নেপালের দূরত্ব মাত্র ৬১ কিলোমিটার, ভুটান ৬৮ আর চীন সীমান্তের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে এশিয়ান হাইওয়ে-২ এর সংযোগ। যেটি তামাবিল-সিলেট –ঢাকা, রংপুর হয়ে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা পর্যন্ত বিস্তৃত। যাকে নতুন সম্ভাবনা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, এ বন্দরে পর্যটন ভিসা চালু হলে আরও বেশি কর্মচঞ্চল হবে।