আর্কাইভ  রবিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ● ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২৫
হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে

হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে

হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে রায় ২৭ নভেম্বর

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি
হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে রায় ২৭ নভেম্বর

হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর

হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর

রাজনীতি ছেড়ে 'পাপমুক্ত' হতে দুধ দিয়ে গোসল!

রাজনীতি ছেড়ে 'পাপমুক্ত' হতে দুধ দিয়ে গোসল!

আগামী নির্বাচনে আলেম-ওলামাদের দোয়া ও সমর্থন চাইলেন তারেক রহমান

রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, রাত ০৮:২০

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলেম-ওলামাদের দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

 
তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনায় বিএনপির মূলমন্ত্র হবে ন্যায়পরায়ণতা। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে একটি ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনে বিএনপি দেশের সব ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন, আলেম-ওলামা মাশায়েখের দোয়া ও সমর্থন চায়।
 
রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ২টায় রাজধানীর আগারগাঁও চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘সম্মিলিত ইমাম–খতিব জাতীয় সম্মেলন ২০২৫’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাকী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মুফতি আজহারুল ইসলাম ও মুফতি শরিফুল্লাহ।
 
সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন তারেক রহমান। এছাড়া বক্তব্য দেন- জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
 
তারেক রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সম্মানি ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, কোনো হীন-দলীয় স্বার্থে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা গেছে। হীন-স্বার্থে ধর্মীয় ব্যাখ্যা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।
 
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ভিন্নমত যাতে সমাজে ফেৎনা তৈরি না করে সেদিকে আলেম-ওলামাদের সতর্ক থাকতে হবে। বরাবরের মতো বিএনপি সবসময় ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থবিরোধী তৎপরতা রোধে সোচ্চার।
 
তিনি আরও বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বাইরে রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে ইমাম-খতিবদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
 
সম্মেলনে শীর্ষ আলেমদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মাওলানা আব্দুর হক, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, শাহ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন ও মাওলানা আব্দুল হাই নদভীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বহু আলেম।
 
সম্মানিত ইমাম–খতিবদের মধ্যে আরও ছিলেন ড. খলিলুর রহমান মাদানী, মুফতি আবু সাঈদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান মমতাজি, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আব্দুল হাই মিশকাত ও মুফতি বশিরউল্লাহ।
 
রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা সারোয়ার কামাল আজিজী, মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা আবদুর রহিম ইসলামাবাদী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা আব্দুল আওয়াল, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবাহানী, মুফতি আব্দুল কাইয়ুম কাসেমী ও মুফতি রেজাউল করিম আবরারসহ অন্যান্য শীর্ষ আলেম–ওলামা।
 
সম্মিলিত ইমাম–খতিব জাতীয় সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী ও সদস্যসচিব মুফতি আজহারুল ইসলামের সঙ্গে বাস্তবায়ন কমিটিতে কাজ করেন মুফতি আবদুর মালেক, মুফতি দেলোয়ার হোসাইন, মুফতি মুনীরুজ্জামান খান, ড. জয়নুল হক খান, মাওলানা জিয়াউল করিম মাহমুদ, মুফতি নেছার হুমায়ূন মাহনির, মুফতি শাব্বির আহমাদ মঞ্জিলী ও মুফতি শফিকুল ইসলাম।

মন্তব্য করুন


Link copied