আর্কাইভ  সোমবার ● ২৭ মার্চ ২০২৩ ● ১৩ চৈত্র ১৪২৯
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৭ মার্চ ২০২৩
 width=
 width=
শিরোনাম: দিনাজপুরে লিচু বাগানে ১২'শ কোটি টাকার মধু আহরণের সম্ভাবনা       ৯ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস, হতে পারে শিলাবৃষ্টি       আপত্তিকর দৃশ্য দেখে ফেলায় বন্ধুর হাতে প্রাণ গেল জিয়াবুরের       এক দিন ছুটি নিলে ঈদে মিলবে টানা ৫ দিনের ছুটি       এক সময়ের ফকিরের দেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী      

আগুনে প্রাণ গেলো ফায়ার সার্ভিসের ১২ কর্মীর

রবিবার, ৫ জুন ২০২২, রাত ১০:৫২

ডেস্ক: সীতাকুণ্ডের বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনে ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। রবিবার (৫ জুন) রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ডিপোতে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১২ কর্মী রয়েছেন।
 
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমানও একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১২ জন কর্মী আগুন নেভাতে গিয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মরদেহ শনাক্ত সম্ভব হয়েছে। এছাড়া আমাদের ১৫ কর্মী সিএমএইচে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 
 
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যদের তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের নিপন চাকমা, মিঠু দেওয়ান, এমরান হোসেন সুজন, রানা মিয়া, মনিরুজ্জামান, আলাউদ্দিন, শাকিল তরফদার, রমজানুল ইসলাম, সালাহ উদ্দীন কাদের চৌধুরী, মো. রবিউল ইসলাম, ফরিদুজ্জামান ও শফিউল আলমের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। 
 
এরআগে, সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে ৯ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী মারা গেছেন বলে জানিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।  
 
এদিকে রাত পৌনে ৯টার দিকে কন্ট্রোলরুমের বরাত দিয়ে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৯। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, পার্কভিউ হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি আছেন মোট ১৮২ জন। এছাড়া চমেক হাসপাতাল ও পার্কভিউ হাসপাতাল থেকে ১২ জন রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর আহত ১০০ জনের বেশি চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানান তিনি।  
 
ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ পৃথক চারটি কমিটি গঠন করেছে। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আলমগীর জানান, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে হতাহতদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
 
এর আগে, শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো ডিপো এলাকা। পরে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোতে আমদানি-রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল। ডিপোর কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে সেগুলোতেও বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় হতাহত হয়েছে বেশি। আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতাল ও বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে আগুন নেভাতে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। পরবর্তী সময়ে অন্য কনটেইনারের বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন তারা। এদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যরা যোগ দিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের ২৯টির বেশি ইউনিট কাজ করছে।   

মন্তব্য করুন


Link copied