স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ এইচএসসি ভর্তির সুযোগ পাওয়া কলেজ দেখে আর বাড়িতে ফেরা হলো না মেধাবী শিক্ষার্থী দিয়া মনির (১৬)। মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার সময় একটি কাভার্ট ভ্যানের ধাক্কায় নিভে যায় তার জীবন প্রদীপ। আজ রবিবার(১ জানুয়ারী) বিকালে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে জেলা সদরের ঢেলাপীর নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গুরুত্বর আহত মোটরসাইকেল চালক দিয়ামনির চাচাতো ভাই সোহাগ ইসলামকে (২০) সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত দিয়া মণি পাশর্^বর্তী দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার সুবর্ণখুলি পেষ্টিপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের মেয়ে। সে এবারে খানসামা উপজেলার রয়েল স্টার স্কুল থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজে এইচএসসিতে ভর্তির সুযোগ পায়।
দিয়া মণির সহপাঠিরা জানায়, খানসামা উপজেলার রয়েল স্টার স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায় দিয় মণি। আজ রবিবার সকাল ১১টায় ওই স্কুলের জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সেখানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর চাচাতো ভাই সোহাগের মোটরসাইকেলে এইচএসসিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সৈয়দপুরের লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ দেখতে যায় সে। সেখান থেকে ফেরার পথে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার বিকালে সৈয়দপুর থেকে সোহাগ নামে চাচাতো ভাইয়ের মোটরসাইকেলে করে নিজ বাড়ির দিকে ফিরছিলেন দিয়া মণি। এসময় পেছন থেকে একটি কাভার্ট ভ্যানের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন দিয়া মণি নামের ওই শিক্ষার্থী। তার হাতে থাকা এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া সংবর্ধনার ক্রেস্ট দেখে স্কুলের পরিচয় পাওয়া যায়। এসময় আহত মোটরসাইকেল চালক সোহাগকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শর্য্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নীলফামারী সদর থানার ওসি আব্দুর রউপ জানান, কাভার্ট ভ্যানটি পালিয়ে গেছে। নিহত ছাত্রীর পরিবার এসে তাদের হাতে লাশ হস্তান্তর করা হয়। ঘাতক কাভার্ট ভ্যানটির অনুসন্ধান চলছে।’