আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ● ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত       বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নীলফামারীতে দুই বোন-ভাই নিহত       বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্প বাতিল ও মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে নীলফামারীতে কৃষকদের মানববন্ধন       নিত্যপণ্যের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নীলফামারীতে ক্যাবের মানববন্ধন       ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতে ভয় লাগে মাহির      

 

এরশাদকে নিয়ে মোতাহার হোসেনের মন্তব্যের জেরে সংসদে হট্টগোল

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩, সকাল ০৯:০৬

ডেস্ক: জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নিয়ে মন্তব্যের জের ধরে সংসদে হট্টগোল তৈরি হয়েছে। দশম সংসদ নির্বাচনে এরশাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে—লালমনিরহাট-১ আসনের সরকারি দলের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টির এমপিরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। সংসদে হইচই চিৎকার চেঁচামেচি হয়। এর সূত্র ধরে সংসদে কিছু সময়ের জন্য অচলবস্থার সৃষ্টি হয়। এ সময় সংসদে সভাপতির দায়িত্বে থাকা ডেপুটি স্পিকার সামসুল হক টুকু অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। পরে তাৎক্ষণিক সভাপতির চেয়ারে এসে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ পর্যায় তিনি উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে তথ্যগত কোনও ত্রুটি থাকলে তা পর্যবেক্ষণ করে এক্সপাঞ্জ করার রুলিং দেন। চলতি একাদশ ও দশম সংসদে এ ধরনের পরিস্থিতি দেখা যায়নি।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার ফ্লোর পান মোতাহার হোসেন। এ সময় সভাপতিত্ব করছিলেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।

মোতাহার হোসেন বক্তব্যের ‍শুরুতে বলেন, আমাকে ছয়বার সংসদে এবং দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ভোট করতে প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রথমবার ৫৫ হাজার ভোটে জিতেছি। গতবার জিতেছি ২ লাখ ৫৫ হাজার ভোটে। গত ভোটে (২০১৪) আমার স্ট্রং প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মাত্র ৭ হাজার ভোট পেয়ে ওনার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল হাতিবান্ধা-পাটগ্রামে। আরও একবার আমি সংসদ সদস্য হতে পারতাম। আগের দিন আমি জিতেছি ২৭ শ ভোটে। পরেরদিন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আমাকে ২২ শ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন। তার ফলশ্রুতিতে গতবার আমার এলাকার ভোটার ওনাকে জানিয়ে দিয়েছেন তার অবস্থাটা কী?

মোতাহার হোসেনের বক্তব্যের শুরুতে জাতীয় পার্টির এমপিরা সংসদে ছিলেন না। তবে তার বক্তব্যের আট মিনিটের মাথায় ফিরোজ রশীদ দাঁড়িয়ে মাইক ছাড়াই কথা বলতে শুরু করেন। এ সময় মোতাহার হোসেন থেমে যান। কিছুক্ষণ পর সভাপতির দায়িত্বে থাকা ডেপুটি স্পিকার তাঁকে বসতে বলেন এবং পরে চাইলে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর দেবেন বলে জানান। তবে তাতে তিনি নিবৃত্ত না হলে মাইক ছাড়াই কথা অব্যাহত রাখেন। এ সময় সংসদে চিৎকার চেঁচামেচি শোনা যায়।

এ সময় মোতাহার হোসেন বলেন, আপনি সিনিয়র সংসদ সদস্য…. আমার সময়ে আরেকজন বক্তৃতা দেবেন কীভাবে? এ সময় স্পিকার মোতাহার হোসেনের মাইকও বন্ধ করে দেন। বলেন মোতাহার হোসেনকে দাঁড় করিয়ে রেখে কাজী ফিরোজ রশীদকে এক মিনিটের জন্য ফ্লোর দেন। তিনি এক মিনিটের মতো কথা বলেন। তার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন ডেপুটি স্পিকার বলেন, আপনি পরে সময় নিয়ে যদি কোনও বক্তব্য থাকে বলবেন। ঠিক এ সময় বিরোধী দলের চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙা দাঁড়িয়ে মাইক ছাড়াই কথা বলতে শুরু করেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার মোতাহার হোসেনকে একটু অপেক্ষা করতে বলেন। বলেন, আমি রাঙা সাহেবকে একটু শুনি।

রাঙা ফ্লোর পেলে সরকারি দলের সদস্যরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তিনি ফ্লোর নিয়েই বলেন- চলে যাবো। চিৎকারের দরকার নেই, আমরা চলে যাবো। পরে তিনি এরশাদের জামানত বাজেয়াপ্ত ইস্যুর ব্যাখ্যা দেন। … এক পর্যায়ে তার মাইক বন্ধ হয়ে যায়। পরে ডেপুটি স্পিকার তাকে বসতে বলেন। জাতীয় পার্টির এমপিদের উদ্দেশ্য করে বলেন- আপনারা পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলবেন। সময় দেওয়া হবে। আপনি বসুন। তার (মোতাহার হোসেন) বক্তব্য শেষ হোক। তবে ডেপুটি স্পিকারের কথায় কর্ণপাত না করে জাতীয় পার্টি এমপিরা চিৎকার করতে থাকেন। এ পর্যায়ে ডেপুটি স্পিকার বলেন, আপত্তিকর কিছু থাকলে তা এক্সপাঞ্জ করা হবে। আর পয়েন্ট অব অর্ডারে অন্য সুযোগে আপনি কথা বলবেন। আপনারা বসেন। আমি পয়েন্ট অব অর্ডারে সুযোগ দেবো।

মোতাহার হোসেনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি এজেন্ডার ওপরে কথা বলবেন। এমন কথা বলবেন না যাতে সংসদ পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটে এবং তার বক্তব্য শেষ করার জন্য ফ্লোর দেন। ঠিক এই সময়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তড়িঘড়ি করে হাউজে প্রবেশ করে সভাপতির আসনে বসেন। এর আগে প্রায় ১০ মিনিটে মতো সংসদে অচলবস্থার সৃষ্টি হয়।

স্পিকার হাউজে ঢুকে সবাইকে বসতে বলেন। বিরোধী দলের কাজী ফিরোজ রশীদ ও মসিউর রহমানের রাঙার নাম উল্লেখ করে বসতে বলেন। তিনি বলেন, হাউজের একটি ডেকোরাম আছে। এখানে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা হচ্ছে। এখানে একজন বক্তা তার বক্তব্য রাখছেন। সেই বক্তব্যে আপত্তিকর কিছু থাকলে সেটা আপনারা উত্থাপন করতে পারেন। কিন্তু এজন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। ওনি (মোতাহার) ওনার বক্তব্য শেষ করবেন। আপনারা হাত তুলবেন। আমরা যখন মনে করবো- আপনাদেরকে সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে আছে, সেই সুযোগ দেবো। আপনাদের কথাও শোনা হবে। যদি এমন কোনও বিষয় থাকে যেটা এক্সপাঞ্জ করার প্রয়োজনীয়তা আছে সেটা বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুযোগ আছে। কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা চলমান থাকার সময়ে একজন বক্তা যখন বক্তব্য দিচ্ছেন। সেটা আপনিও হতে পারেন, বিরোধী দলের সদস্যও হতে পারেন। সেই বক্তব্য চলাকালীন আপনি হাত তুলে আপত্তি করেছেন সেটা ঠিক আছে। কিন্তু তারপরে সেই মুহূর্তে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনা করা সমীচীন নয়। সেটা পরমুহূর্তে হতে পারে। আমার এজেন্ডার মাঝখানে নয়। কাজেই আমি আপনাদের কাছ থেকে সেই সহযোগিতা আশা করছি। আপনাদের বিষয়টিও শোনা হবে। আমি এখন জনাব মোতাহার হোসেনকে যেটুকু সময় ক্ষেপণ হয়েছে সেটাসহ বক্তব্য শেষ করার জন্য ফ্লোর দেবো। এবং বলেন- কী বিষয়ে আপত্তি কীভাবে তা নিষ্পত্তি হবে সেটা দেখবো। এ সময় মোতাহার হোসেনকে দেওয়া ১০ মিনিট শেষ হলে স্পিকার তাকে আরও ১/২ মিনিট কথা বলার জন্য ফ্লোর দেন। ফ্লোর পেয়ে তিনি এরশাদের জামানত বাজেয়াপ্ত বিষয়ে আগের বক্তব্য ডিফেন্ড করে আবারও বলেন, ওনারা (জাপা) যে প্রশ্নটি তুলেছেন- ১৯৮৫ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আমি দাঁড়িয়েছিলাম। সেবারও ওনাদের ক্যান্ডিডেটের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। নব্বই সালে আমি আবারও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দাঁড়াই। তখনও ওনাদের ক্যান্ডিডেটের জামানত আমি বাজেয়াপ্ত করি। এবং শেষবার ভোটে... ওনারা সবাই রাঙা ছিল। ওই বরিশালের রুহুল আমিন হাওলাদার ছিলেন এবং এরশাদ সাহেবের ভাইও ছিলেন ঢাকা এয়ারপোর্টে। এরশাদ সাহেবই প্রশ্নটা তুলছিলেন—তুমি আমার জামানত বাজেয়াপ্ত করে দিলে। আমি বলেছিলাম— আগেও দু’বার করেছি। এবারও করলাম। আমি তো এখানে অসত্য, মিথ্যা কথা বলিনি। এটা কোনভাবেই হতে পারে না। আর আমি বক্তব্য দিতেছি সেখানে ওনারা মাঝখানে বক্তব্য দেবেন—এটা কোনভাবে হতে পারে না। আমি খুব কষ্ট পাইলাম। এখানে অবশ্যই তাদের ডেকোরাম মানতে হবে। এ সময় স্পিকার তাকে অবশিষ্ট বক্তব্য শেষ করার অনুরোধ করেন।

এ সময় জাতীয় পার্টির এমপিদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ওনারা আমার সময়টা নষ্ট করেছেন। আমার তিন মিনিট সময় নষ্ট করেছেন। জবাবে স্পিকার বলেন, আপনাকে এক মিনিটে শেষ করতে বলেছি। এক মিনিটে শেষ করবেন।

মসিউর রহমান রাঙাকে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর দেন স্পিকার। তিনি বলেন, আমরা মাগরিবের নামাজের পর বাইরে ছিলাম। ওখান থেকে আমরা শুনলাম ওনি বলছিলেন—হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করে আমি এই সংসদে এসেছি।

লালমনিরহাট-১ আসনে এরশাদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে রাঙা বলেন, আমাকে এরশাদ সাহেব বললেন—তুমি লালমনিরহাটে গিয়ে আমারটা (মনোনয়নপত্র) সাবমিট করে দিয়ে আসো। আমি সাবমিট করতে গিয়ে দেখলাম ‌ওনার (মোতাহার) লোকজন সব। আমাকে বলছেন—আপনি সাবমিট করবেন না। আমি বললাম—না আমি সাবমিট করতে এসেছি। সাবমিট করে দিয়ে যাবো। ওনি (এরশাদ) যদি ভোট না করেন উইড্রো করে নেবেন। তারা বললেন—না, মোতাহার ভাই বলেছেন আপনি সাবমিট করিয়েন না। কিন্তু আমি বলেছিলাম—সাবমিট করবো। জবাবে ওনারা বললেন—আপনি সাবমিট করলে তো ইলেকশন হবে। আমি বললাম—এটা এরশাদ সাহেব বুঝবেন। আমি তার বাইরে যেতে পারবো না। আমি ওনার জেলার সভাপতি, প্রেসিডিয়াম মেম্বার। ওনার মহাসচিব হিসেবে আমাকে এটা করতে হবে। আমি তখন জমা দিয়ে আসছি। পরবর্তীতে এরশাদ সাহেব বললেন—আমি ওখান থেকে আর নির্বাচন করবো না। করলে রংপুরে করবো। যে কোনভাবেই হোক ওনি ২০১৪ সালে নির্বাচন করতে চাননি। আমরা তাকে নির্বাচন করার অনুরোধ করি। আমি সিএমএইচে গিয়ে বলি—আপনি যদি না চান নির্বাচন করার সাত দিনের মধ্যে আমাদের বলবেন আমরা সবাই রিজাইন করবো। তার পরিণতি যদি এভাবে হয়! বঙ্গবন্ধুকে সম্মান দিতে না পারার কারণে এখানে দাঁড়িয়ে কিন্তু কেঁদেছেন ওনি (এরশাদ)। সেই মানুষটাকে অপমান করা। বিরোধী দলের নেতা থাকা অবস্থায় তাকে নিয়ে টানা-হেঁচড়া আমাদের তো দুঃখ লাগবে।

এ সময় স্পিকার জানতে চান তিনি কোন সালের কথা বলেন—জবাবে বলেন, এটা ২০১৪ সালের ঘটনা।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে পরাজিত করে ওনি সংসদে এসেছেন এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। আপনি এটা এক্সপাঞ্চ করে দেবেন।

পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফিরোজ রশীদ বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তিনি আমাদের মাঝে নেই। একজন মৃত ব্যক্তির নামে এ ধরনের কুৎসা রটনা উচিত নয়। মোতাহার সাহেবের ভালো করে জানা উচিত এরশাদ সাহেব রংপুরের মাটিতে কোনদিনও হারেননি। তিনি কারাগারে থেকে ৫টি আসনে জয়লাভ করেছেন। ২২টি আসনে একা প্রার্থী হলে সবগুলোতে জয়ী হতেন। তিনি কারাগারে থেকে দুইবার ৫টি করে আসনে জয়ী হয়েছেন।

মোতাহার হোসেনকে উদ্দেশ্য করে ফিরোজ রশীদ বলেন, ওনি এতবড় বীর বিক্রম হয়ে গেল? এরশাদ সাহেবের জামানত বাজেয়াপ্ত হলো। যে নির্বাচনে এরশাদ সাহেব দাঁড়ায়ইনি। তার কোনও প্রার্থীকে দাঁড়াতে দেননি। আমাকে দিয়ে উইড্রো করালেন পরে আমি দাঁড়িয়েছি। তার আদেশ অমান্য করে ১৪ সালের নির্বাচনে দাঁড়াই। না হলে এই সংসদ থাকে না। এরশাদ সাহেব নির্বাচন করেননি। জোর করে রাঙা একখানা নমিনেশন... সে তো একটা নাপিতের কাছে হারিয়ে গিয়েছিল। কোথাও ভোট চাইতে যাননি। সিএমএইচে ভর্তি। একটা আসনে জয়লাভ করেছেন। এরশাদ সাহেবের জামানত রংপুরে বাজেয়াপ্ত করার মতো সন্তান রংপুরে আজ পর্যন্ত জন্ম নেয়নি। তার নামে কথা বলার আগে অনেকবার চিন্তা করা দরকার ছিল। তিনি একটি দলের চেয়ারম্যান। আমরা কিন্তু অন্য দলের চেয়ারম্যানকে নিয়ে কিছু বলি না। ধৃষ্ঠতার একটি সীমা থাকে দরকার। এটা সম্পূর্ণ এক্সপাঞ্চ চাই। আমাদের দাবি এটা এক্সপাঞ্জ করবেন। না হলে রংপুরের মাটিতে তার অসুবিধা হবে।

পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ ইস্যুতে রুলিং দেন। তিনি বলেন- মাননীয় সদস্যবৃন্দ, জনাব মোতাহার হোসেনের বক্তব্যে যদি কোনও তথ্যগত ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে সেটা বিবেচনা করে তা পরীক্ষা  করে এক্সপাঞ্জ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে লালমনিরহাট-১ আসনে এইচএম এরশাদ প্রার্থী ছিলেন। ওই নির্বাচনে তিনি ৫ হাজার ৩৮১ ভোট পেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের মোতাহার হোসেন এক লাখ ৭৯ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনেও এরশাদ পরাজিত হন। তবে রংপুর-৩ আসনে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied