আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ● ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত       বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নীলফামারীতে দুই বোন-ভাই নিহত       বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্প বাতিল ও মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে নীলফামারীতে কৃষকদের মানববন্ধন       নিত্যপণ্যের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নীলফামারীতে ক্যাবের মানববন্ধন       ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতে ভয় লাগে মাহির      

 

কতটা ভয়ংকর হবে মোখা

বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩, দুপুর ১২:৪৭

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রবিবার ভোরের মধ্যে এটি আঘাত হানতে পারে। এ ঘূর্ণিঝড় রূপ নিতে পারে সুপার সাইক্লোনে। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে এখন সাগর উত্তাল। বর্তমানে এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার।

আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। একই সঙ্গে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে। গত সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ম এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপ উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ম এলাকায় অবস্থান করছে।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, গভীর নিম্নচাপটি বুধবার (গতকাল) ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে বৃহস্পতিবার (আজ) পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মোখার প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল বিকালে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রবিবার ভোরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে পারে। আর এটি হতে পারে সুপার সাইক্লোন। সম্ভাব্য এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকার সবদিক থেকে প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় কমিটির সভার শুরুতে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ উপকূল থেকে গড়ে ১৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। শুক্রবার নাগাদ এটি উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নেবে এবং কক্সবাজার জেলা ও মিয়ানমার উপকূল দিয়ে অতিক্রম করবে। আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০-২২০ কিলোমিটার থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এসওডি (স্থায়ী আদেশবলি) অনুযায়ী সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান মো. এনামুর রহমান। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ উপকূলীয় এলাকায় যত আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে তা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। সেগুলোয় ইতোমধ্যে ১৪ টন শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে ২০০ টন চাল চলে যাবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি শেল্টার ম্যানেজমেন্টের জন্য। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ পরিবহন, জনবল ও লোকজন আনা-নেওয়ায় সহায়তা করে আসছে। লোকজনকে জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পুলিশ সহায়তা করবে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied