আর্কাইভ  সোমবার ● ১৮ আগস্ট ২০২৫ ● ৩ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ১৮ আগস্ট ২০২৫
ঋণের নামে ৭৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ

এস আলমের মালিকসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫, রাত ১১:৩৪

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: 

৭৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মাসুদসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (১৭ আগস্ট) বিকালে চট্টগ্রামের জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আফরোজা হক খান। জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- এস আলমের পিএস আকিজ উদ্দীন, নগরীর আসকার দিঘীরপাড়ের ‘লা এরিস্টোক্রেসি’ রেস্টুরেন্টের মালিক নাজমে নওরোজ, ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, নগরীর কাজির দেউড়ির সাবেক ব্যবস্থাপক নাজমা মালেক ও হুমায়রা সাঈদা খানম।

এছাড়াও আসামি করা হয়েছে- জেড আর জে সার্ভে কোম্পানির মালিক শফিকুল করিম, মিশকাত ট্রেড সেন্টারের মিশকাত আহমেদ, আরিফ হাসনাইন রাবার সরবরাহকারী মো. আরিফ হাসনাইন, নুর ট্রেডার্সের জসিম উদ্দিন, মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের জুয়েল মিয়ারিমঝিম শাড়ি হাউজের জয়েল মিয়া, মেসার্স আগমন এন্টারপ্রাইজের এরসাদ সিকদার, এম এইচ এন্টারপ্রাইজের মনিরুল হক, নিউ বসুন্ধরা জুয়েলার্সের যিশু বণিক, মেসার্স আল মদিনা স্টিলের মো. আলমগীর ও মেরিন ফিশের মাহবুবুল হক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের সঙ্গে নাজমে নওরোজের ছিল ‘ভালো সম্পর্ক’। তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএসআকিজ উদ্দীনের সঙ্গে ছিল ‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক’। এতেই ঋণের নামে এস আলমের মালিকানাধীন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ৮০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন রেস্তোরাঁর মালিক নাজমে নওরোজ। পরে ওই টাকা কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করেন।

২০১৫ সাল থেকে নাজমে নওরোজকে ঋণসীমা লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত ঋণ দেওয়ার প্রবণতা শুরু হয়। ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে দেড় কোটি টাকা ঋণসীমার বিপরীতে তাকে ৭৪ কোটি ৩৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৪৫ টাকা অতিরিক্ত ঋণ দেওয়া হয়। আর ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তার নেওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৯ কোটি ৯৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮৪ টাকা

নথি পর্যালোচনায় দুদক আরও জানতে পারে, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে নাজমে নওরোজের নামে ছাড় করা ঋণের টাকা তিনি নগদে উত্তোলন করে ১১টি প্রতিষ্ঠান ও ৩ জন ব্যক্তির ব্যাংক হিসেবে স্থানান্তর করেন। মামলায় এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


Link copied