গাইবান্ধা: আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। ঘোষিত পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটি আসনে দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটওয়ারীকে প্রার্থী করা হয়েছে। বাকি তিনটি আসনে একক প্রার্থী দিয়েছে দলটি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে গাইবান্ধা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সারওয়ার হোসেন শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি প্রার্থীদের নাম উল্লেখ করে নিজের ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি জানান।
ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন— গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) ও গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা–ফুলছড়ি) আসনে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটওয়ারী, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে আবদুর রশিদ সরকার, গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি–সাদুল্লাপুর) আসনে ময়নূর রাব্বি চৌধুরী রুমান ও গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে কাজী মশিউর রহমান।
এর মধ্যে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটওয়ারী গাইবান্ধা-১ আসনের সাবেক এমপি এবং গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক এমপি ছিলেন আবদুর রশিদ সরকার। গাইবান্ধা-৩ আসনের ময়নূর রাব্বি চৌধুরী রুমান ও গাইবান্ধা-৪ আসনের কাজী মশিউর রহমান এর আগেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
প্রার্থী ঘোষণার বিষয়ে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সারওয়ার হোসেন শাহীন জানান, পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনটি আসনে একক প্রার্থী এবং দুটি আসনে মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটওয়ারীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা–ফুলছড়ি) আসনের প্রার্থিতা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা শুরু করেছেন। জাতীয় পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে মাঠে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা–ফুলছড়ি) আসনে গোলাম শহীদ রঞ্জুকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, মহাসচিবের পরিবর্তে আসনটিতে দলের একজন যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতাকে প্রার্থী করা হোক।
উল্লেখ্য, গোলাম শহীদ রঞ্জু এর আগে ওই আসনের উপ-নির্বাচনসহ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।