আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২১ অক্টোবর ২০২৫ ● ৬ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২১ অক্টোবর ২০২৫
“ছাত্রীর পরিকল্পনায় জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদকে খুন"

“ছাত্রীর পরিকল্পনায় জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদকে খুন"

লালমনিরহাটের নয়টি ইউনিয়নের ৫৬ ইউপি সদস্যের আ'লীগ-জাপা থেকে গণপদত্যাগ

লালমনিরহাটের নয়টি ইউনিয়নের ৫৬ ইউপি সদস্যের আ'লীগ-জাপা থেকে গণপদত্যাগ

রংপুরের পীরগঞ্জে টাকা না দেওয়ায় দাদিকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় নাতি গ্রেফতার

রংপুরের পীরগঞ্জে টাকা না দেওয়ায় দাদিকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় নাতি গ্রেফতার

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩টি ইউনিট বন্ধ ঘোষণা

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩টি ইউনিট বন্ধ ঘোষণা

গাইবান্ধায় ৮ মাসে ধর্ষণের শিকার ১২০ নারী-শিশু

শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিকাল ০৬:৩৭

Advertisement

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ধর্ষণ ও নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত জেলায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অন্তত ১২০ জন নারী ও শিশু। এছাড়া ১৫৫টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে।

জেলা হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকারদের মধ্যে ৩ থেকে ১০ বছর বয়সী ১৪ জন, ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৮৭ জন এবং ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ১৯ জন। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন স্কুল-কলেজগামী কিশোরী ও শিশু। হাসপাতালের হিসাব বলছে, প্রতি মাসেই গড়ে প্রায় ১৫ জন নারী-শিশু ধর্ষণের পর ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন অথবা পরীক্ষা করিয়েছেন।

নারী ও শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, বিচারহীনতা, অশ্লীলতা, পর্নোগ্রাফি এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের হাতে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের অবাধ প্রবেশাধিকার এসব ঘটনার অন্যতম কারণ। যদিও অনেক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে তারা পার পেয়ে যায়। ফলে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

গাইবান্ধা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিক্তু প্রসাদ বলেন, অপরাধীরা শাস্তি না পাওয়ায় এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে। কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।

বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র গাইবান্ধার সংগঠক কলি রানী বর্মন বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের আরও কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন। মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) শরিফুল আলম বলেন, আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি অভিভাবক, শিক্ষক ও সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু পুলিশ একা এসব প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে গাইবান্ধায় এক বছরে ১৬২ জন নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং ২২২ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তুলনামূলকভাবে এ বছর ধর্ষণ ও নির্যাতনের হার আরও উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।

মন্তব্য করুন


Link copied