আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে বাড়ি-ক্লিনিক দখলের অভিযোগ

রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, রাত ০৮:৩২

Advertisement Advertisement

ডেস্ক রিপোর্ট: চিত্রনায়ক জায়েদ খান, তার ভাই ওবাইদুল হক পিন্টু ও শহীদুল হক মিন্টুর বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদরের একটি হিন্দু পরিবারের বাড়ি ও ক্লিনিক দখলের অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে দাবি করা হয়েছে, ছয় বছর আগে ‘অন্তর জ্বালা’ ছবির দৃশ্যধারণের নামে এই কর্মকাণ্ড করেছেন তারা। পিরোজপুর জেলা সদরের সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ গীতা রানী মজুমদার এই অভিযোগ করেছেন। তবে জায়েদ খান এসব অস্বীকার করে উল্টো প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

গীতা রানী মজুমদারের অভিযোগ, ‘২০১৬ সালের ২১ মার্চ রাতে ‘অন্তর জ্বালা’ ছবির চিত্রায়নের কথা বলে জায়েদ খান, তার ভাই ওবায়দুল হক পিন্টু, শহীদুল হক মিন্টু এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ভবনের পঞ্চম তলার বিভিন্ন কক্ষে অনধিকার প্রবেশের পর পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। তারা ওই রাতেই আমাদের ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে গুম করার উদ্দেশে ঝাটকাঠী গ্রামের একটি পুরাতন ভবনে আটক রাখেন এবং আমাদের সার্জিকেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার জোরপূর্বক দখল করেন।’

মানববন্ধনে গীতা রানী মজুমদার আরও দাবি করেন, ‘২০১৬ সালের ২৬ মার্চ পিরোজপুর সদর থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। তারপর থেকে জায়েদ খান বাহিনী ক্রোধ থেকে আমাকে ও আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে পিস্তল দেখিয়ে ভারত চলে যেতে নিয়মিত হুমকি দিতে থাকেন। আমরা যদি দেশত্যাগ না করি তাহলে আমাদের খুন করা হবে বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। আমাদের আত্মীয়স্বজনকে কাছে আসতে বাধা দেওয়া ছাড়াও বিদ্যুৎ এবং পানি সংযোগ কেটে দিয়ে আমাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করে আসছেন তারা।’

গীতা রানী মজুমদার আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল স্বরাষ্টমন্ত্রী ও আইজিপির কাছে সুবিচার চেয়ে আবেদন করি। ঘটনাটি গণমাধ্যমের উঠে এলে হাইকোর্ট আমাদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়। আমরা এ সময় ঢাকায় অবস্থান করি। ঢাকা থেকে পিরোজপুরে ফিরে দেখি আমাদের ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করে জায়েদ খান বাহিনী সবকিছু ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে ২০১৮ সালের ৬ জুন পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করি।’

জায়েদ খান বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন গীতা রানী মজুমদার। তার সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জায়েদ খান ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘হিন্দু ক্লিনিক দখলের মিথ্যা অভিযোগ খুবই দুঃখজনক এবং হাস্যকর। আমি এর প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে, বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তারাই এবার আমাকে একটি হত্যা মামলার আসামি সাজানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

আমি তৃতীয়বারের মতো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় আমাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। যে ক্লিনিক ও জায়গার কথা বলা হচ্ছে সেসবের সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। আমার মেজ ভাই ওই ক্লিনিকের অর্ধেক অংশের মালিক। তিনি বাকি অর্ধেক কিনে নিতে টাকাও দিয়েছেন। কিন্তু ওই নারী নিবন্ধন সম্পন্ন না করে গড়িমসি করছেন। ফলে এই মামলা আদালতে চলমান।

এটা আমার ভাই ও ওই নারীর বিষয়। এরমধ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে কাজ করা সিনেমার লোকেরা পিরোজপুরে গিয়ে ওই নারী ও তার পরিবারকে টাকা দিয়ে ভাড়া করে নিয়ে এসেছে এবং প্রেসক্লাবে দাঁড় করিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদি এমন কিছু থেকে থাকে তাহলে পিরোজপুরের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই তো হয় যে, এ ধরনের ঘটনা আদৌ ঘটেছে কিনা।

আমি তেজগাঁও থানায় একটা জিডি করে রেখেছি, কারণ এরকম ষড়যন্ত্র আমার বিরুদ্ধে করতেই থাকবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন এবং সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারকে কেন্দ্র করে। যারা এই মিথ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’

মন্তব্য করুন


Link copied