 
                                                                        
                                                                        
                                        
স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটির পশ্চিম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মজিদুল ইসলামের ৩ একর ২০ শতক বাঁশঝাড় ঘিরে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা গড়ে তুলেছে তাদের নিরাপদ আবাসস্থল কলোনি। এখানে আটটি জাতের বক, পানকৌড়ি, রাতচড়া, ঘুঘু, শ্যামা, দোয়েল, শালিক, বাবুই, চড়ুইসহ নানা ধরনের পাখির কলতান। এই পাখিরাই বদলে দিয়েছে গ্রামের নাম। সবাই এখন পাখিনাগা বলে চেনেন পশ্চিম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামটিকে। এক শ্রেনীর পাখী শিকারিরা সেখানে হানা দিয়ে অবাধে পাখি শিকারের অভিযোগ উঠেছে।ওই স্থানে পাখি শিকার বন্ধে উপজেলা প্রশাসক সহ সামাজিক সংগঠনগুলো এগিয়ে এসেছে। 
শনিবার(৬ মে) পাখি শিকার রোধে ওই এলাকা জুড়ে সচেতনতামূলক বিলবোর্ড স্থাপন করেছে উপজেলা প্রশাসন প্রশাসনের সহযোগীতায়  স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেতুবন্ধন যুব উন্নয়ন সংস্থা। পাখি সহ সকল বন্যপ্রাণী শিকার, হত্যা, লালন-পালন, ক্রয়-বিক্রয় বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২” অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ সম্বলিত সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ও অসাধুদের সতর্ক করতেই সেখানে বিলবোর্ড স্থাপন ও লিফলেট বিতরণ  করা হয়। 
এসময় উপস্থিত ছিলেন ওই এলাকার ভোগডাবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, পাখি নাগা কলোনীর প্রতিষ্ঠাতা মাজিদুল ইসলাম, সেতুবন্ধন যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক  সম্পাদক নওশাদ আনসারী সহ সংস্থার সদস্য রাকিব হাসান ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন শিমুল প্রমুখ।