প্রাণচঞ্চল উচ্ছল হাসি কে না ভালোবাসে? কিন্তু সেই মুক্তো ঝরানো হাসির আবেদন অনেকেরই হারিয়ে যায় ত্বকের রঙের সাথে ঠোঁটের রঙের অসামঞ্জস্যতার কারণে। অনেকেই ঠোঁটের কালচে বর্ণ নিয়ে বিব্রত বোধ করেন। শাড়ি, গয়না, টিপটপ সাজ আর মানানসই প্রসাধন - চমৎকার এই সাজের পুরোটাই মাটি করে দিতে পারে ঠোঁটের কালো ছাপ। কেউ হয়তো তার সাজটি ন্যাচারাল রাখতে লিপস্টিকের বদলে ঠোঁটে শুধু গ্লস বা ভ্যাজলিন ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু ঠোঁটের কালো দাগের কারণে সাহস পান না। এমনকি লিপস্টিকের ব্যবহারেও মাঝেমধ্যে সমাধান হয় না। করণীয় কী?
ঠোঁট কেন কালো হয়?
সমাধান খোঁজার আগে কারণ জানা জরুরি। অনেক কারণেই ঠোঁট কালো হতে পারে বা ঠোঁটে কালো কালো দাগ পড়তে পারে। যেমন- ব্যস্ত কর্মজীবন, স্ট্রেস, তামাক সেবন, ধূমপান করা, কেমোথেরাপি, আবহাওয়ার পরিবর্তন, বাতাসের আর্দ্রতা, শারীরিক অসুস্থতা, অতিরিক্ত ফ্লুরাইডের ব্যবহার, নিম্নমানের কসমেটিকসের ব্যবহার, রাতে ঘুমানোর আগে লিপস্টিক না তোলা, সরাসরি সূর্যের আলো পড়লে, স্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা।
ঠোঁটে কালো দাগের প্রতিকার
১. লেবুর রস ও মধুর মিশ্রণ ঠোঁটে লাগান। বেশ কিছুক্ষণ লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চিনির সঙ্গে লেবু আর মধু মিশিয়েও লাগাতে পারেন ঠোঁটে। এটা স্ক্রাবারের কাজ করে। প্রত্যেকের বাড়িতেই আলু থাকে। তাই আলুর রসও লাগাতে পারেন ঠোঁটে।
২. প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আপনি যখন দাঁত ব্রাশ করেন, তখন টুথপেস্টের কিছুটা আপনার ঠোঁটের ওপর লাগিয়ে প্রলেপ দিন। কিছুক্ষণ পর ব্রাশ করা শেষ হলে হাতের ব্রাশটি দিয়ে ঠোঁট ব্রাশ করুন। এ জন্য ব্রাশটিকে অবশ্যই নরম হতে হবে এবং অনেক হালকাভাবে ব্রাশ করতে হবে। এর ফলে ঠোঁটের এবং ঠোঁটের চারপাশের মৃত কোষগুলো উঠে আসবে, সতেজ হবে ঠোঁট এবং এর চারপাশ।
৩. বরফের টুকরায় কয়েক ফোঁটা কাঠবাদামের তেল লাগিয়ে ঠোঁটে ঘষে নিন। এতে ঠোঁটের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে এবং ঠোঁটের উজ্জ্বল ভাব ফিরে আসবে।
৪. ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে নারকেলের ভূমিকা কিছু কম নয়। নিয়মিত ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করলে এই সমস্যা দূর হয়।
সূত্র : আনন্দবাজার।