স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জেলা পরিষদের সদস্য পদে ভোটে হেরে জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল খালেককে(৪৭) মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. আতাউর রহমান সাজু(৪২)। সোমবার(৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ডোমার উপজেলার মিরজাগঞ্জ রেলস্টেশন বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার(৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আতাউর রহমান জোড়াবাড়ি মাঝাপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে।
মামলার অভিযোগ মতে, ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আতাউর রহমান সাজু(৪৭)। কিন্তু চলতি বছরের ১৭ অক্টোবরে নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হলেও হেরে যান। ভোটে হেরে সাবেক সদস্য আতাউর রহমান জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সদস্যকে হুমকি প্রদান করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে তিনি জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আসেন। কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে ভোটের সময় ৩০ হাজার টাকা নেয়া তিন নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল খালেককে পরিষদ কার্যালয় থেকে বের করে নিয়ে মারধর এবং হুমকী প্রদান করেন। স্থানীয়রা ইউপি সদস্য আব্দুল খালেককে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এমন অভিযোগে রাতে ডোমার থানায় মামলা দায়ের করেন ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক। ওই মামলায় রাতে অভিযান চালিয়ে মিরজাগঞ্জ রেলস্টেশন বাজার থেকে আতাউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার বাদি ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের জোড়াবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে।
ডোমার থানার ওসি মাহমুদ-উন নবী বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক। ওই মামলায় আতাউর রহমান ও তার অপর তিনভাইসহ অজ্ঞাত আরো ২ থেকে তিনজনকে আসামী করা হয়। ওই মামলার প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আতাউর রহমানকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।