ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অফিসিয়াল ফোন নাম্বার ক্লোন করে চাদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার সকল নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ও সাধারণ জনগণকে টাকা লেনদেনে সচেতন করেছেন প্রশাসন।
শনিবার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোটার প্রার্থী ও চেয়ারম্যানদের এই ফোন দেয়া শুরু হয়।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে সবাইকে সচেতন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) একটি পোষ্টও করা হয়। মূলত একটি প্রতারক চক্র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই প্রতারণা শুরু করেছে। আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও পুনরায় পদ প্রার্থী মকছেদ আলী, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও পুনরায় পদ প্রার্থী তারেক ইসলাম, দেবনগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী আবু কালাম আজাদ ডাবলু, সাবেক চেয়ারম্যান ও পুনরায় পদ প্রার্থী তরিকুল ইসলাম, বর্তমান চেয়ারম্যান ও পুনরায় পদ প্রার্থী মহসিনুল হককে ফোন দিয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাকা দাবী করা হয়। পরে তারা বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই প্রতারক চক্রের লোক নিজেকে থানার ওসি পরিচয় দিয়ে ইউপি নির্বাচনে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। এর পর প্রার্থীরা বিষয়টি এড়িয়ে গেলে ইউএনও'সহ পুনরায় থানায় অবহিত করে। পরে সকল নির্বাচনী প্রার্থীকে টাকা লেনদেনে সচেতন করা হয়। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনার পর থেকে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। শুধু আমার (ইউএনও) ও ওসির ফোন নাম্বারই না, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণকে এসি ল্যান্ড, রিটার্নিং অফিসার এবং প্রিসাইডিং অফিসারের নাম্বার ক্লোন করে অর্থ দাবী করা হচ্ছে। তাই এবিষয়ে কোনরূপ আর্থিক লেনদেন না করার জন্য এবং সতর্ক থাকার জন্য ফেসবুক পোষ্টসহ সকলকে জানানো হয়েছে। আশাকরি সকলে এ বিষয়ে সচেতন থাকবে।